অজুতে রয়েছে যেসব কল্যাণ

অজু পবিত্রতা অর্জন ও নামাজ আদায়ের প্রধান মাধ্যম। অজুর আভিধানিক অর্থ- সৌন্দর্য, পরিষ্কার ও স্বচ্ছতা। শরিয়তের পরিভাষায় পবিত্রতা অর্জনের নিয়তে নির্দিষ্ট অঙ্গসমূহে পানি ব্যবহার করাকে অজু বলে। হাদিসে অজুকে নামাজের চাবি বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। অজু পরিপূর্ণ ও সুন্দর হওয়ার লক্ষ্যে অজুর সুন্নতসমূহের ওপর নিয়মিত আমল করা উচিত।

নবিজি (সা.) বলেছেন, ‘যখন কোনো মুসলমান উত্তমরূপে ওজু করে, এরপর দাঁড়িয়ে মন লাগিয়ে খুশু-খুজুর সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ পড়ে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়’।-মুসলিম

ওজু ইমানের অর্ধেক। ওজুর মাধ্যমে মানুষ বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় রকম পবিত্রতা অর্জন করতে পারে। হজরত আবু মালেক হারেস ইবনে আসেম আশআরি (রহ.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবি (সা.) বলেছেন, ‘ওজু ইমানের অর্ধেক। আলহামদুলিল্লাহ মিজানের পাল্লা পূর্ণ করে। সুবহানাল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ উভয়টা পূর্ণ করে অথবা আসমান-জমিন ও এ দুয়ের মাঝে যা আছে সবই পূর্ণ করে।’-মুসলিম

ওজু পাপ মোচনের মাধ্যম। ওজুর মাধ্যমে ছোট ছোট গুনাহ সহজে মাফ হয়ে যায়। হজরত ওসমান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ওজু করে এবং তা উত্তমরূপে করে তার দেহ থেকে সব গুনাহ বের হয়ে যায়, এমনকি তার নখের ভেতর থেকেও।’ -বুখারি।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

প্লেটের মাঝখান থেকে খাবার খাওয়া যাবে?

নূর নিউজ

নামাজে বয়স্কদের কাতারে শিশুদের দাঁড়ানোর বিধান

নূর নিউজ

মানব সেবায় আল্লাহর সন্তুষ্টি

নূর নিউজ