রাজধানী ইস্তাম্বুলের বিখ্যাত আয়া সোফিয়া মসজিদে শনিবার (১৩ মে) নামাজ পড়িয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। কাল রোববার দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। এর আগেরদিন নামাজে ইমামতি করেছেন তিনি।
এরদোয়ান মূলত এর মাধ্যমে সাবেক অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতানদের একটি ‘রীতি অনুসরণ’ করেছেন। যুদ্ধে যাওয়ার আগে সুলতানরা নিজে নামাজ পড়াতেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনটিকে ‘যুদ্ধ’ হিসেবে ধরে সেই রীতি পালন করলেন।
এবারের নির্বাচনে এরদোয়ানের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন ৭৩ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক কেমাল কিলিকদারোগলো। তুরস্কের যেসব রাজনৈতিক দল রয়েছে সেগুলোর মধ্যে ছয়টি দল জোটবদ্ধ হয়ে কেমালকে মনোনয়ন দিয়েছে। এ দলগুলো এক হয়েছে এক লক্ষ্য নিয়ে— সেটি হলো ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ানকে যে কোনোভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা।
নির্বাচনের আগে যেসব জরিপ চালানো হয়েছে, সেগুলোতে দেখা গেছে ধর্মনিরপেক্ষ কেমাল জয়ের ক্ষেত্রে এরদোয়ানের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে আছেন। এর ফলে ধারণা করা হচ্ছে, হয়তবা এরদোয়ান যুগের অবসান হলেও হতে পারে।
এদিকে আয়া সোফিয়া মসজিদটি আগে বাইজান্টাইনদের গির্জা ছিল। পরবর্তীতে অটোমান সাম্রাজের সুলতানরা এটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করেন।
তবে ধর্মনিরপেক্ষ ও আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা কামাল আতাতুর্ক ১৯২৩ সালের পর আয়া সোফিয়াকে জাদুঘর বানিয়ে সেটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেন। কিন্তু ২০২০ সালে আবারও এটিকে মসজিদের রুপে ফিরিয়ে আনেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। এরমাধ্যমে তুরস্কে ইসলামপন্থিদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। তবে আয়া সোফিয়াকে জাদুঘর থেকে আবারও মসজিদ বানানোয় পশ্চিমা দেশগুলো তার ওপর কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়।