আওয়ামী লীগের গদিতে আগুন দেওয়া উচিৎ: ফয়জুল করীম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই) বলেছেন, জাতীয় সরকার বা নিরপেক্ষ সরকার যে নামেই হোক একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে দেশ অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।

নির্বাচন নিয়ে বিদেশী হস্তক্ষেপের দায়ভার শেখ হাসিনার। তাদের ২০১৪ ও ২০১৮ সালে প্রহসনের নির্বাচনের কারণেই বিদেশিরা আমাদের দেশে হস্তক্ষেপ করার সাহস পাচ্ছে। আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। মানবতা ভুলুন্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, সরকারকে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি আওয়ামী লীগ ছাড়া সকল রাজনৈতিক দলের। দেশবাসী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, চিকিৎসা বিভাগ, নির্বাচনী ব্যবস্থা, শিক্ষাঙ্গণসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। মাদরাসা ছাত্র হাফেজ রেজাউল হত্যার কারণেই আওয়ামী লীগের গদিতে আগুন দেয়া উচিৎ। এস আলম গ্রুপের ১০ হাজার কোটি টাকা বিদেশ পাচারের খবর শেখ হাসিনা জানেন এবং এই পাচারের সাথে শেখ হাসিনা জড়িত। শনিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে ভারতে নিরীহ মুসলিম গণহত্যা, বাড়িঘর ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদ, সন্ত্রাসী হামলায় নিহত মাদরাসা শিক্ষার্থী হাফেজ রেজাউল করীমের খুনীদের দ্রুত গ্রেফতার, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক মুফতি কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, মাওলানা ওয়ালীউল্লাহ, ডা. শহিদুল ইসলাম, নূরুল ইসলাম নাঈম, অ্যাডভোকেট মো. মশিউর রহমান, হাফেজ মাওলানা মাকসদুর রহমান, মুফতী মাসউদুর রহমান, আলহাজ্ব এম এইচ মোস্তফা, হাফেজ শাহাদাত হোসাইন প্রধানিয়া, মাওলানা মুহাম্মাদ আলআমিন সোহাগ, মুফতী হাফিজুল হক ফাইয়াজ, ইউসুফ পিয়াস, মাইদুল হাসান সিয়াম। সমাবেশ পরিচালনা করেন কেএম শরীয়াতুল্লাহ ও মুফতী ফরিদুল ইসলাম। সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে পল্টন মোড়, বিজয়নগর পানির ট্রাংকি গিয়ে সমাপ্ত হয়।

মিছিলে এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনা কবে যাবি, দফা এক দাবি এক হাসিনার পদত্যাগ, ভারতে মুসলিম হত্যা বন্ধ কর করতে হবে, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ কর করতে হবে, হাফেজ রেজাউল খুন কেনো শেখ হাসিনা জবাব দে, ইত্যাদি শ্লোগান দেওয়া হয়।

মুফতী ফয়জুল করীম আরও বলেন, ভারতে হরিয়ানা রাজ্যে মুসলিম গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। উগ্রবাদী বিজেপির সন্ত্রাসী কর্তৃক মুসলিম হত্যা বন্ধে প্রয়োজনে বিশ্বমুসলিমকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সরকার দলীয় সিন্ডিকেট বাজার নিয়ন্ত্রণ করে সাধারণ মানুষকে শোষণ করছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা সালাহউদ্দিনের ইন্তেকাল

নূর নিউজ

বৃষ্টি থেমে নোয়াখালীতে সূর্যের দেখা, কমতে শুরু করেছে পানি

নূর নিউজ

কাতারে প্রবাসী মামুন হোসেনকে ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চেয়ে প্রবাসীদের সংবাদ সম্মেলন

নূর নিউজ