‘আলেম ও আধুনিক শিক্ষিতদের বিভাজন ঔপনিবেশিক ষড়যন্ত্র’

কাতারস্থ আল নূর কালচারাল সেন্টারের গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের আয়োজনে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দোহা জাদিদ মসজিদে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন আল নূর গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক আমিনুল হক। প্রধান অতিথি ছিলেন আল নূর কালচারাল সেন্টারের মহাপরিচালক প্রকৌশলী শুয়াইব কাসেম। প্রধান আলোচক ছিলেন নির্বাহী পরিচালক মাওলানা ইউসুফ নূর।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আল নূর শিক্ষা বিভাগের সহযোগী পরিচালক ও বাংলাদেশ স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক আবু শামা। বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন আল নূর গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের সহকারী পরিচালক ও কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি ছাত্র মাওলানা আবু তালেব। গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের সদস্যদের মধ্যে আলোচনা করেন প্রকৌশলী ওয়ালিদ ভুঁইয়া,ড ইউসুফ আল কারজাভী কার্যালয়ের শরীয়াহ গবেষক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন,কাতার ধর্মমন্ত্রণালয়ের ইমাম মাওলানা আমিনুর রহমান ও বাংলাদেশ স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক তাফসিরুদ্দিন প্রমুখ।

কর্মশালায় আলোচকগণ বলেন, বাংলাদেশে প্রচলিত ঔপনিবেশিক আমলের ত্রিমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা জাতির মাঝে বিভাজন তৈরি করে রেখেছে। দেশ জাতি ও উম্মাহর স্বার্থেই ধর্মীয় ও আধুনিক শিক্ষিতদের সহাবস্থান একান্ত প্রয়োজন। জ্ঞানী ও গবেষকগণ জাতির পরম সম্পদ। দল মত ও ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে তাদের সম্মান ও সহায়তা করা করা রাষ্ট্র এবং সমাজের কর্তব্য।

প্রকৌশলী শুয়াইব কাসেম বলেন, আল নূর অরাজনৈতিক অলাভজনক ও স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠান। কমিউনিটির উন্নয়নের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন আমাদের আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য।

কর্মশালায় লিখিত বক্তব্যে মাওলানা ইউসুফ নূর গবেষণার ইতিবৃত্ত, ইসলামে জ্ঞান গবেষণার মর্যাদা ও গুরুত্ব এবং বিশ্ব সভ্যতার উন্নয়নে মুসলিম গবেষকদের অবদান তুলে ধরে বলেন, কুরআনে শুধু ইলম শব্দটি ৭৭৯ বার এসেছে।ধর্মীয় জ্ঞানের পাশাপাশি জাগতিক শিক্ষা ও সৃষ্টি গবেষণার প্রতি উৎসাহ দেয়া হয়েছে।সোনালী যুগের মুসলিম বৈজ্ঞানিক ও গবেষকগণ উভয় বিষয়ে পারদর্শী ছিলেন।শুধু মুসলিম বিশ্ব নয় ইউরোপীয় রেনেঁসার পেছনে ও তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য।

তিনি আরো বলেন,উ পযুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থার অভাবে পুর্বসূরীদের ন্যায় আমরা উভয় ক্ষেত্রে দক্ষ হতে পারব না এটা সত্য, তবে আলেম ও আধুনিক শিক্ষিতদের সমন্বিত জ্ঞান গবেষণা অবশ্যই জাতির জন্য সুফল বয়ে আনবে।

কর্মশালায় বিভাগের বিগত কার্যক্রমের পর্যালোচনা শেষে সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে গবেষণা ও প্রকাশনা কর্মসূচী ২০২১ ঘোষণা করা হয়। সে অনুযায়ী প্রকাশনা তালিকায় রয়েছে, সংক্ষিপ্ত তাফসির ও হাদিস সংকলন, বাংলাদেশে ইসলাম প্রবেশের ইতিহাস শীর্ষক আরবী গ্রন্থ , কাতারের বাংলাদেশী ছাত্র ছাত্রীদের লেখনী , তিন ভাষায় প্রশ্নোত্তরে বাংলাদেশ শীর্ষক কুইজ বই, কাতারের আইন কানুন এবং শ্রমিকের কর্তব্য ও অধিকার বিষয়ক প্রচারপত্র তৈরি, সীরাতুন্নবী ওয়েবসাইটের উদ্বোধন এবং আল কুরআন প্রকাশ ও বিতরণ।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আমিনুল হক ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে সদস্য ও পৃষ্ঠপোষকদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

কুয়েতে কমে গেছে প্রবাসীদের পার্টটাইম কাজের সুযোগ

নূর নিউজ

বাড়তে পারে প্লেনের টিকিটের দাম

নূর নিউজ

ইউসুফ কারাজাভির ইন্তেকালে আল নূর কালচারাল সেন্টারের শোক

নূর নিউজ