ইলমে ওহী শিখতে হলে সর্বোচ্চ মেহনত মুজাহাদা করতে হবে: আল্লামা রাব্বানী

আজ ২২ মে ২০২২ ইং রোববার বাদ মাগরিব কর্ণপাড়া জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম, সাভার ঢাকা এর ১৪৪৩-৪৪ হিঃ মুতাবেক ২০২২-২৩ ইং শিক্ষাবর্ষের সবক ইফতিতাহ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন অত্র জামিয়ার সভাপতি, সাভার পৌর সভার ৬নং ওয়ার্ড কমিশনার আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার।

ইফতিতাহি মজলিশে প্রধান আলোচক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পেশ করেন অত্র জামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম ও শাইখুল হাদীস আল্লামা মুহিউদ্দীন রাব্বানী। তিনি নূরানী মক্তব বিভাগ, হিফজ বিভাগ, প্রথম বর্ষ থেকে তাকমীল এবং ইফতা বিভাগের ইফতিতাহি সবক প্রদান করেন।

তিনি ছাত্রদেরকে মনযোগের সাথে পড়ালেখার সাথে সাথে সবধরণের গুনাহ থেকে নিজেকে হেফাজত করার প্রতি জোর তাকিদ দেন। ইলমের পথে বাধা হয় এমন সকল বিষয় থেকেও নিজেকে হেফাজত করতে বলেন। বিশেষভাবে মোবাইলের ক্ষতি সম্পর্কে সকলকে সতর্ক করেন।

অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, আমাকে এটা উপলব্ধি করতে হবে, আমি এখানে ইলমে ওহী শিক্ষা করছি। এ ইলমে ওহী পৃথিবীর সবকিছু থেকে শ্রেষ্ঠ ও সার্বজনীন। এ কথা সবাই মানে। তবে মানলেই হবে না। এটা অন্তর থেকে মানতে হবে। দিলে এ অনুভূতি জাগ্রত করতে হবে। এ মূল্যবান ইলম অর্জন করতে দিলে তলব তৈরি করতে হবে। তলবের অর্থ হলো একজন মানুষ গরমে প্রচণ্ড পিপাসায় পানি পাচ্ছে না। সে বসে না থেকে পানির সন্ধান করতে ছুটছে। তোমাকেও ছুটতে হবে। ইলমে ওহী শিখতে হলে সর্বোচ্চ মেহনত মুজাহাদা করতে হবে। তুমি ইলমকে সব দিলে সে তার থেকে কিয়ৎপরিমাণ তোমাকে দিবে।

তিনি আলোচনার শেষ দিকে বলেন, প্রকৃত ছাত্র তো সেই, যে শেষ রাতে তাহাজ্জুদ আদায় করে, নিজের ইলমী আমলী তারাক্কীর জন্য আল্লাহর কাছে কাঁদে, এবং নিজের উস্তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি ও মাকবুলিয়্যাতের জন্য দোয়া করে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের এ নিসাবের প্রায় প্রত্যেক মুসান্নিফ পারদর্শী আলেম হওয়ার পাশাপাশি বড় আল্লাহওয়ালা ছিলেন। তাই এই নিসাব যারা মনযোগের সাথে অধ্যায়ন করবে তারাও জ্ঞানী হওয়ার সাথে সাথে আল্লাহওয়ালা হয়ে যাবে। আর সব কিছুর মূল যেহেতু আল্লাহর দরবার, তাই তোমাকে অবশ্যই তার থেকে চেয়ে নিতে হবে।

তিনি ছাত্রদেরকে কয়েকটি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। ১. সময়ের মূল্যায়ন। ২. দীনি আত্মমর্যাদাবোধ। ৩. মাদরাসা ও উস্তাদগণের যথাযথ কদর। ৪. আকাবির ও আসলাফের ফিকির লালন ৫. ভালোভাবে মুতালা‘আ করা। ৬. মনোযোগ দিয়ে সবক শোনা। ৭. তাকরার করা। ৮. সারাদিনের একটি নিযামুল আওকাত তৈরী করে নেওয়া ইত্যাদী।

সর্বশেষে তিনি এবছরের আগত ইলম পিপাসুসকল ছাত্রের যথাযথ হক আদায় করার ও এলাকাবাসীর দ্বীনী খেদমত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি আরও বলেন, ইলম অর্জন করতে হলে নিজেকে উস্তাদের কাছে বিলিন করে দিতে হবে। ছাত্রের কাজ হবে সামি’না ওয়া আতা’না। শুনলাম মানলাম। তোমাদের মেহনত অনুযায়ী তোমরা তোমাদের ফল পাবে। তাই সবকিছুর কদর করা জরুরী। আল্লাহ তোমাদের কবুল করুন, আমীন।

বিশেষ মেহমান হিসেবে আলোচনা পেশ করেন কর্ণপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সভাপতি আলহাজ রহমত উল্লাহ, সাভারস্থ আনন্দপুর মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম, সাভার উপজেলা উলামা পরিষদের সেক্রেটারী মাওলানা আলী আযম, অত্র জামিয়ার মুতাওয়াল্লী আলহাজ নূরুল ইসলাম। এছাড়াও আরো আলোচনা করেন অত্র জামিয়ার নায়েবে মুহতামিম মাওলনা আফসার মাহমুদ, মুফতী আহসান মাহবুব, মুফতী আলী আকরাম প্রমূখ।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

৯ মাসে হাফেজ হলো ছোট্ট শিশু আব্দুর রহমান

নূর নিউজ

ইসলামপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

নূর নিউজ

ঢাকার দারুল আরকামের সার্টিফিকেট দিয়েই ফুল স্কলারশিপ নিয়ে আল-আযহারে যাচ্ছে ১০ শিক্ষার্থী

নূর নিউজ