ইসলামী মূল্যবোধ ও জাতীয় ঐক্য

বাংলাদেশ গরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ। এ দেশের ৯০ শতাংশ মুসলমান। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ৮ শতাংশ। তারা ক্রমহ্রাসমান। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর অবস্থান নগন্য। সুতরাং সংখ্যাধিক্যের ধর্মচেতনা জাগ্রত থাকলে রাজনীতিতে এর প্রভাব প্রবল হওয়ার কথা। মনস্তাত্ত্বিকভাবে মুসলিম পরিচয় বা ইসলামী ধ্যান-ধারণা অদৃশ্যমানভাবে প্রবহমান। কিন্তু দৃশ্যমানভাবে ক্রমহ্রাসমান এই প্রবাহ। কারণ হিসেবে ঔপনিবেশিক ইতিহাস, ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষাব্যবস্থা ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতিকে চিহ্নিত করা যায়। আরো দায়ী করা যায়, দেশের ভৌগ-রাজনৈতিক অবস্থানকে। ১৯৪০-এর দশকে হিন্দু জাতীয়তাবাদের বিপরীতে ইসলামী জাতীয়তাবাদ তথা মুসলিম চেতনার ক্ষেত্রে প্রবল বিপ্লব ঘটে। ১৯৪৭ সালের দেশ বিভক্তির পর থেকে আজকের সময় পর্যন্ত যদি ব্যাখ্যা করা যায়, তাহলে ইসলামী চেতনা ক্রমহ্রাসমান- এই অনুমান অস্বীকার করার নয়। সমাজতাত্ত্বিকভাবে ১৯৪৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত নির্বাচনগুলো পর্যালোচনা করলে এর প্রমাণ পাওয়া যায়।

এসব সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ইসলামী মূল্যবোধ সবসময়ই বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রবল পরাক্রমের পরিচয় দিয়েছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জনগণের এই নাড়ির টান অনুভব করে, সংবিধানে কাম্য সংশোধনী সংযোজন করেন। ১৯৯১ সালে সবাইকে অবাক করে দিয়ে ইসলামী মূল্যবোধের প্রবক্তা বিএনপি জয়লাভ করে। ১৯৯৬ সালে মাথায় পট্টি ও তসবিহ এর ছবি বিতরণ করে পার পেতে হয়। স্লোগান শোনা যায় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-নৌকার মালিক তুই আল্লাহ’। এরশাদ সাহেব যখন রাষ্ট্র্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে ঘোষণা করেন, তখন তিনি বলেছিলেন- ইসলামী শক্তির ভবিষ্যৎ বিজয়কে ঠেকানোর জন্যই তিনি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করেছেন। নির্বাচনসমূহের পরিসংখ্যান নিলে এর বিপরীত অবস্থান দেখা যায়। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জামায়াত ক্ষমতার লড়াইয়ের ভারসাম্য নির্ধারকের অবস্থানে চলে যায়। সেদিনের আওয়ামী লীগ জামায়াতকে তাদের সমর্থন দেয়ার জন্য তদবির করে। ক্ষমতা ভাগাভাগির লোভ দেখায়। স্বাভাবিকভাবেই জামায়াত তাদের সতত মিত্র বিএনপিকে সমর্থন জানায়। এভাবে তারা আওয়ামী লীগের চিরশত্রুতা ক্রয় করে। নেকড়ে ও মেষশাবকের গল্প সবারই জানা কথা। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তিবিভেদ ও দ্বন্দ্ব আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসায়। ২০০১ সালের নির্বাচনে শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিরপেক্ষতার কারণে বিএনপি-জামায়াত আবার ক্ষমতায় ফিরে আসে। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন, নির্বাচন কমিশনার আবু সাঈদ ও সব ওসি-ডিসি ঠিকঠাক করে আওয়ামী লীগ নির্বাচনের ব্যবস্থা করে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘ওলট-পালট করে দিয়ে লুটেপুটে খাওয়ার’ আওয়ামী পরিকল্পনা বাঞ্চাল করে দেয়। নির্বাচনী ফলাফলে বিএনপি-জামায়াত বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ক্ষমতায় ফিরে এলে আওয়ামী লীগ তা মেনে নিতে অস্বীকার করে। তারা প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দীনকে নির্বাচন বাতিল করার জন্য চাপ দেয়। আর সিইসি মো: আবু সাঈদের বিরুদ্ধেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়। উল্লেখ্য যে, এই উভয় ব্যক্তিই আওয়ামী লীগের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। কিন্তু তারা ছিলেন ন্যায়নিষ্ঠ মানুষ। মো: আবু সাঈদ বলেছিলেন, ‘আমি নিরপেক্ষ নই, কিন্তু নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব।’ বিচারপতি সাহাবুদ্দীন যখন আওয়ামী প্রস্তাবে না বলেন, তখন তাকে এবং সিইসিকে বিশ^াসঘাতক বলে অভিহিত করা হয়। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন নিরপেক্ষ, নির্মোহ ও ন্যায়নিষ্ঠ মানুষ ছিলেন। তার মতো মানুষ আওয়ামী লীগের প্রতিবাদে যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন তা বাংলাদেশের ক্রমহ্রাসমান মূল্যবোধের ইতিহাসে একটি দুর্ভাগ্যজনক দৃষ্টান্ত।

বাংলাদেশে ইসলামী শক্তির ক্রমহ্রাসমানতার কথা বলেছি। ইসলামী শক্তি মানেই শুধু রাজনৈতিক দল নয়। অরাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত প্রতিটি প্রতিষ্ঠান এর অন্তর্ভুক্ত। এতে শামিল রয়েছে দেশের ৪০ লাখ আলেম-ওলামা। লাখ লাখ মসজিদ। হাজার হাজার মাদরাসা। কোটি কোটি দ্বীনদার সাধারণ মানুষ। রাজনৈতিকভাবে তারা শতধাবিভক্ত। ফেরকার অন্ত নেই। কিন্তু যখনই এই তৌহিদি জনতার ঈমান আমলের ওপর আঘাত আসে, তখন তারা দল-মত ভেদে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অতিসাম্প্রতিক সময়ে যে’কটি দুর্ঘটনা (কৃত্রিম অথবা অকৃত্রিম) ঘটানো হয়েছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের লোকদের প্রবল ভূমিকা দেখা গেছে। তার মানে এই দলের নেতৃত্ব তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতার ধ্বজাধারী হলেও সাধারণ কর্মীরা ঈমানহীন নয়। আমি এমন অনেক বাম ধারার লোককে দেখেছি, যারা নামাজ পড়ে না বা জামায়াতকে দু’চোখে দেখতে পারে না। কিন্তু যখনই ঈমানের প্রশ্ন আসে, তখন তারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। এতদসত্ত্বেও আবারো নিশ্চিত করছি যে, সাধারণ মুসলিম হিসেবে তাদের রাজনৈতিক ভূমিকা অত্যন্ত গৌণ। দুঃখের বিষয়, পাশ্চাত্য এবং প্রবল প্রতিবেশী রূপ-রস-গন্ধ দিয়ে এ রাজনৈতিক শক্তিকে অনেকগুণ করে প্রকাশ করে। নরেন্দ্র মোদির সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরের প্রাক্কালে সরকারের গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার তথ্য উল্লেখ করা যায়। এই সময়ে ইসলামী শক্তির বিরুদ্ধে নির্মম ব্যবস্থা নেয় সরকার। এর প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিক্ষোভ এবং আন্দোলনের ঘটনা ঘটে। যাই হোক, এখনো ক্ষমতাসীন সরকার জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তিকে তাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে। অতি সাম্প্রতিককালের আন্দোলনের পর আবারো নিপীড়ন ও নির্যাতনের পথে ফিরে যায় ক্ষমতাসীন সরকার। এই মুহূর্তে মামলার পর মামলা ও হামলার অন্ত নেই। এই সেদিন এক শীর্ষ নেতা জামিন লাভ করার পর জেলগেট থেকে আবার আটক করা হয়। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী যারা পড়েছেন, তারা দেখেছেন এভাবেই তিনি বারবার আটক হয়েছেন। দুর্ভাগ্যের বিষয়, তার দল যখন ক্ষমতায়, তখন ওই দৃশ্যের বারবার পুনঃপ্রয়োগ চলছে।

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এই যে, সেই ওয়ান-ইলেভেনের ফলে গঠিত সরকার এখনো ক্ষমতাসীন। আগেই বলা হয়েছে, দূরের ও পাশের দেশের যৌথ প্রযোজনায় যে সরকার প্রতিষ্ঠিত হলো তাদের প্যাকেজ ডিলের শর্ত মোতাবেক সরকারকে কিছু রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কার্যব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। তা যতই নির্মম হোক অথবা জাতীয় স্বার্থবিরোধী হোক। ২০১৪ সালের নির্বাচন প্রহসনে পরিণত করার পেছনে প্রতিবেশীর এক রকম ন্যাংটা হস্তক্ষেপ এবং ২০১৮ সালে প্রতিবেশীর বিপরীত শক্তির ‘বস্তা বস্তা টাকা’ যে অনুঘটকের কাজ করেছে তা একরকম প্রমাণিত। এখন ২০২৪ সালের সম্ভাব্য নিবার্চন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা সমীকরণ চলছে। এর বেশির ভাগই গোপনীয়, প্রকাশ্য নয়। ২০২৩ সালের এই পাদপ্রান্তে দাঁড়িয়ে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তি যে ক্ষমতাসীনদের বড় দুশ্চিন্তার কারণ, তা গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ পাচ্ছে। একক শক্তি হিসেবে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তি যদি আত্মপ্রকাশ করে তাহলে জোয়ারে ভেসে যাবে সব কিছু। এরকম একটি রাজনৈতিক সমীকরণের স্বপ্ন বাংলার আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত হচ্ছে যদিও সরকার এখন পর্যন্ত কোনো নির্বাচনেই ভোটের মাধ্যমে জয়লাভ করেনি, তবুও তারা ভোট ভোট খেলা দেখাতে চায়। ২০১৪ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে তারা বিরোধী দলকে নির্বাচনকালীন সরকারে শামিল হতে প্রকাশ্য আহ্বান জানায়। অপ্রকাশ্যে তারা যাতে না আসে, এমনকি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে সে জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে। এসব তথ্য এখন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। ২০১৮ সালে তিনি বললেন, আমায় বিশ^াস করুন। নিশীথ রাতের নির্বাচন করে তিনি অবিশ^াসের কাজ করলেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে কী কৌশল অবলম্বন করবেন, তা নিয়ে তারা গবেষণারত। অপর দিকে বিরোধীদল শঙ্কিত সেই পুরোনো কৌশলের কথা মনে করে। সরকার আগামী নির্বাচনেও যে কৌশল করে জিতে যেতে চায় তা স্পষ্ট। নির্বাচন নির্বাচন খেলা নিশ্চিত করার জন্য জনসভায় ভোটের ওয়াদা নিচ্ছেন। ভাবখানা এই যে, সত্যি সত্যি তার ভোটের প্রয়োজন হবে। দৈব দুর্ঘটনাক্রমে অথবা জনগণের রোষে সত্যি সত্যি যদি নির্বাচন হয়, তা হলে তা মোকাবেলা করার জন্য ভোটের ও জোটের মহড়া দিচ্ছেন। আসলে মুখে শেখ ফরিদ, বগলে ইট।

সত্যিই যদি নির্বাচন হয়, আর বিরোধী দলগুলো যদি একত্র হয় তা মোকাবেলার জন্য আওয়ামী লীগ গোপন ও প্রকাশ্য তৎপরতা শুরু করেছে। ধর্মনিরপেক্ষ দল বলে দাবি করে আওয়ামী লীগ। অথচ ধর্মের নামে শ্লোগান তুলে হলেও ক্ষমতায় যেতে হবে তাদের। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা বাম ধারার সব দলকে বাগানোর চেষ্টা করেছে। হাসানুল হক ইনুর ভাষায় দু’আনা চার আনা মিলে অবশেষে হয়েছে ষোল আনা। শায়খুল হাদিসকে বাগিয়ে নিয়ে তারা ইসলামী শক্তিকে দুর্বল করেছে। বামরা এ জন্য তাদের গালমন্দ করেছে। কিন্তু তাদের তো ক্ষমতা চাই। এ জন্য নীতি-আদর্শের বালাই নেই। এবারো ধর্মভিত্তিক ইসলামী দলগুলোকে বিভ্রান্ত করার জন্য নানামুখী কৌশল এঁটেছে আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যেই ইসলামী ফ্রন্টের মতো ‘ওলামায়ে ছু’ পরিচিত দল আওয়ামী লীগসম্পৃক্ত হয়েছে। আর তাদের দলের ওলামা লীগ তো রয়েছেই। ওলামা লীগ আওয়ামী লীগের বৈধ কোনো সংগঠন নয়। যখন ইসলামী দলগুলোর বিরুদ্ধে ফতোয়া দিতে হয়, আন্দোলন করতে হয়- তখন তাদের ডাক পড়ে। তারা জায়েজকে না জায়েজ, আর নাজায়েজকে জায়েজ করার প্রয়াস নেয়। আগের মতো এবারো ইসলামী দলকে আওয়ামী লীগে ভেড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে। এ ক্ষেত্রে তারা স্টিক অ্যান্ড ক্যারট বা ভীতি ও লোভের কৌশল অবলম্বন করছে। হেফাজতে ইসলামকে নিয়ে তাদের ছল-বল-কৌশলের ইয়ত্তা নেই।

২০১৩ সালে যে হেফাজতে ইসলামের রক্ত ঝরেছে তাদের গণভবনে উঠাতেও তাদের বাধেনি। এখন হেফাজতে ইসলাম আওয়ামী লীগের হেফাজতে আছে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। তবে তাদের মধ্যে কিছু কিছু প্রকৃত জেহাদি লোকও রয়েছে। ভোটের রাজনীতিতে আলেম-ওলামাদের এক ধরনের প্রবল প্রভাব আজো রয়েছে। সংগঠিত শক্তি না হলেও মসজিদ, মাদরাসা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে তাদের অসংগঠিত প্রভাব রয়েছে। সেটি সরকারের জানা আছে। স্মরণ করা যেতে পারে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় মসজিদের খুতবাও নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হয়। তথাকথিত সরকারি বাম দলগুলো সরকারের ইসলামপ্রীতিতে অসন্তুষ্ট। কিন্তু সরকার তাদের ক্ষমতার সমীকরণে অনড় রয়েছে। ধর্মের ব্যাপারে ম্যাকিয়াভেলির নীতি-কৌশল অবলম্বন করছে তারা। ধর্মের ভান করবে আর কাজটি করবে অধর্মের। সন্ত্রাসের সময়ে রাশেদ খান মেননের মতো বাম নেতাকেও টুপি পরে বায়তুল মোকাররমে হাজির হতে দেখা গিয়েছিল। তারা নাকি হজও করেছে। উল্লেখ করা যায়, ২০ দলীয় জোট থেকে বেশ কয়েকটি ইসলামী দলকে ভীতি ও লোভ দেখিয়ে বের করে আনে আওয়ামী লীগ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান যেমন তাদের সাক্ষাৎ দান করেন, তেমনি তাদের গ্রেফতারও করেন। ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ ও অন্য কয়েকটি দলকে আওয়ামী জোটে আনার তৎপরতা চলছে। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এসব ছোট দলের বড় নাম দিয়ে জোটের বাহারি নাম দেয়ার কৌশলের কথা শোনা যাচ্ছে।

পাশ্চাত্যের ও বাংলাদেশের দূরদর্শী বুদ্ধিজীবীরা মনে করেন, বিএনপির মতো মধ্যপন্থী দল যদি ক্ষমতায় যেতে ব্যর্থ হয় তাহলে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর ক্ষমতায় যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হবে। বিএনপি অথবা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যেতে ইসলামী শক্তির সমর্থন লাগবে। এমনকি এই বুদ্ধিজীবীরা ভবিষ্যদ্বাণী করছেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কৃত্রিম বিজয় অর্জন করলেও গণরোষের সুযোগ নিয়ে ইসলামী শক্তি গণআন্দোলনের সূচনা করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে দুটো বৃহৎ শক্তি যদি একত্র হয়, তাহলে তাদের বিজয় উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Mal55ju@yahoo.com

এ জাতীয় আরো সংবাদ

ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে সর্বত্র ইসলামকে বিজয়ী করতে হবে

নূর নিউজ

১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বীকৃতি বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি ও ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে

নূর নিউজ

আফগানিস্তানের মতো পরিনতি হবে কাস্মীরে, মোদিকে হুঁশিয়ারি

নূর নিউজ