নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ওলামায়ে কেরাম ঐক্যবদ্ধ হলে এদেশে ইসলামই হবে নিয়ামক শক্তি। তিনি বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। দেশ নিয়ে সচেতন ওলামায়ে কেরামকে ভাবতে হবে এবং হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার করে সকলকে ইসলাম, দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। ইসলামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠা করার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রতিহিংসার রাজনীতি কারো কাম্য হতে পারে না। ওলামায়ে কেরামকে এক প্লাটফর্মে আসা এখন সময়ের দাবি। তিনি বলেন, দেশে ইসলামী শিক্ষা সংকোচন নীতি অবলম্বন করছে সরকার। ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার জন্য ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্বে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইমা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে নগরীর আগ্রাবাদ, এক্সেস রোড, আব্দুল্লাহ কনভেনশন সেন্টারে ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে উলামায়ে কেরামের দায়িত্ব ও কর্তব্য’ শীর্ষক ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের চট্টগ্রাম নগানগর সভাপতি, মাওলানা মনসুরুল হক জিহাদীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শেখ আমজাদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওলামা সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, হাটহাজারী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা আশরাফ আলী নিজামপুরী, চট্টগ্রাম দারুল মারিফ মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক আল্লামা ফুরকানুল্লাহ খলিল, ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম মোজাহের উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা লোকমান হোসাইন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ডক্টর হুমায়ুন কবির খালভী, আল্লামা ড. বেলাল নূর আজিজি, চট্টগ্রাম জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুল করিমের শাইখুল হাদিস আল্লামা হাফেজ ফরিদ আহমদ আনসারী, জামিয়া বাইতুল করিমের পরিচালক আল্লামা হাসান মুরাদাবাদী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাশেম মাতব্বর, চট্টগ্রাম মহানগর ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারি আলহাজ্ব মোহাম্মদ আল ইকবাল প্রমুখ।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সিলেবাসে ডারউইনের নাস্তিক্যবাদী মতবাদ অন্তর্ভূক্ত করে নতুন প্রজন্মকে নাস্তিক্যবাদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।