অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ১০ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এসব তথ্য দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মজুরি বেড়েছে, মূল্যস্ফীতি কমেছে। এটা খুবই ভালো দিক। কেননা নিম্নআয়ের লোকেরা এ কারণে অস্বস্তিতে ছিল। অক্টোবরের মূল্যস্ফীতির হার আমরা যে ধারণা করেছিলাম সেটি বাস্তব হয়েছে।
গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৯২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৯০ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
বিবিএসের তথ্যমতে, অক্টোবর মাসে মজুরি হার দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৯১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ।
কৃষিতে মজুরি হার বেড়েছে ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে শূন্য দশমিক ৯৩ শতাংশ।
শিল্পে মজুরি হার বেড়েছে ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৯২ শতাংশ। এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮৫ শতাংশ।
সেবা খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ১১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ।