কর-সংক্রান্ত অ’পরাধের মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারিবারিক আবাসন কোম্পানি দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। খবর বিবিসির।
গতকাল মঙ্গলবার নিউইয়র্কের একটি আদালত ট্রাম্প অর্গানাইজেশনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। আদালতে আনা সব অভিযোগেই ট্রাম্প অর্গানাইজেশন দোষী সাব্যস্ত হয়েছে।
ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ট্রাম্প ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তবে ট্রাম্প কিংবা তাঁর পরিবারের কেউ ব্যক্তিগতভাবে এ মামলায় বিচারের মুখোমুখি হননি।
কোম্পানিটিকে ১৬ লাখ মার্কিন ডলার জরিমানা করা হতে পারে। ভবিষ্যতে ঋণপ্রাপ্তি ও অর্থ সংগ্রহের ক্ষেত্রে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটি সমস্যার মুখে পড়তে পারে।
আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, আদালতের সিদ্ধান্তে তিনি হতাশ। মামলাটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
কর ফাঁকি দিতে কোম্পানিটি এক দশকের বেশি সময় ধরে তার শীর্ষ কর্মকর্তাদের দাপ্তরিক নথির বাইরে বিভিন্ন সুবিধা দিয়েছে বলে আদালতের রায়ে এসেছে।
সরকারি কৌঁসুলিরা বলেছেন, করবহির্ভূত এসব সুবিধার মধ্যে ছিল বিলাসবহুল গাড়ি ও বেসরকারি স্কুল ফি।
ট্রাম্প অতীতে এই মামলা ও বিচারককে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে সমালোচনা করেছিলেন।
কোম্পানির সাবেক প্রধান আর্থিক নির্বাহী অ্যালেন উইসেলবার্গ গত আগস্টে আদালতে দোষ স্বীকার করেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। এ ঘটনায় তিনি অ্যালেনের কড়া সমালোচনা করেন।
বিবৃতি দিয়ে ট্রাম্প রায়ের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, অ্যালেনের ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডের জন্য কেন ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের বিচার হবে। অ্যালেন তাঁর ব্যক্তিগত ট্যাক্স রিটার্নে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন ট্রাম্প।
সরকারি কৌঁসুলিদের সঙ্গে সমঝোতার অংশ হিসেবে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন ৭৫ বছর বয়সী অ্যালেন। ফলে তাঁকে পাঁচ মাসের বেশি কারাগারে থাকতে হবে না। তবে তথ্য গোপন করা আয়ের ১৭ লাখ ডলারের বেশি অর্থ তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
মামলায় আগামী ১৩ জানুয়ারি দণ্ড ঘোষণা করবেন বিচারক।
গত ১৫ অক্টোবর ট্রাম্প ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন।
হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হন ট্রাম্প। ২০২০ সালের নির্বাচনেও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই নির্বাচনে তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির জো বাইডেনের কাছে হেরে যান।