১৭ মে শুক্রবার, বা’দ মাগরিব, রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত জামি‘আ ইসলামিয়া দারুল উলূম ঢাকা মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ যাত্রাবাড়ী থানার উদ্যোগে কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে খতমে নবুওয়ত কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
এতে জামি‘আ ইসলামিয়া দারুল উলূম ঢাকা এর প্রিন্সিপাল ও সংগঠনের সহকারী মহাসচিব মুফতী আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব আল্লামা শায়েখ মুহিউদ্দিন রাব্বানী।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সৈয়দ আতাউল্লাহ শাহ বুখারী রহ. ভারতীয় উপমহাদেশে কাদিয়ানী ফেৎনার উৎপত্তি হলে তার মূলৎপাটনে আলমি মজলিসে তাহাফফুজ খতমে নবুয়ত প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশে ১৯৯০ সালে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব উবায়দুল হক রহ. এবং মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী রহ. এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করে জাতীয় সংসদে খতমে নবুওয়ত আইন পাস করার জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসছে। এদের ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, এদেশে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা যেভাবে নিজেদের ধর্মীয় পরিচয়ে বসবাস করে কাদিয়ানী সম্প্রদায়কেও নিজেদের ধর্মীয় পরিচয়ে এদেশে বসবাস করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, অত্যান্ত ব্যথিত মনে জানাচ্ছি যে, গতবছর পঞ্চগড়ে কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নবীপ্রেমিক জনতার বিরুদ্ধে কাদিয়ানী সম্প্রদায় কর্তৃক দায়েরকৃত মিথ্যা ও বানোয়াট ৩৭ টি মামলায় স্থানীয় আলেম উলামা ও তৌহদী জনতার প্রায় ২৫০০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া কয়েক হাজার মানুষকে অজ্ঞাত আসামি করে হয়রানি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি মামলার চার্জশিটও দাখিল করা হয়ে গেছে। এসব মামলায় অনেকে গ্রেফতার হয়ে কারাবন্দী হয়ে আছেন। অনেকের নামে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে। এই সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে এবং এই সব মামলায় যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে আমরা সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় সহকারী মহাসচিব মাওলানা এনামুল হক মুসা এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, হেফাজতের সহকারী মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সহকারী মহাসচিব মুফতী কামাল উদ্দীন, সহকারী প্রচার সম্পাদক মাওলানা আফসার মাহমুদ, ঢাকা মহানগর ৭-নং জোন সেক্রেটারী মুফতী মাহফুজুর রহমান, মুফতী ওমর ফারুক যুক্তিবাদী, মুফতী আব্দুল্লাহ ইদ্রিস, মুফতী সুলতান আহমাদ, মুফতী তাজুল ইসলাম প্রমুখ।