পৃথিবীর বয়স যত বাড়ছে, কেয়ামত ততই নিকটবর্তী হচ্ছে।
হামযাহ আল মাহদী
কিয়ামত অবশ্যই সংঘটিত হবে। আর এর আলামত বা নিদর্শন প্রতিনিয়ত প্রকাশ পেয়ে আসছে। পৃথিবীর বয়স যত বাড়ছে, কেয়ামত ততই নিকটবর্তী হচ্ছে। রাসুলুল্লাহ সা. হাদিসের মাধ্যমে আমাদের কাছে কেয়ামতের অনেক নিদর্শনের কথা বর্ণনা করে গেছেন। তারমধ্যে বেশ কিছু নিদর্শন ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়ে গেছে বা বর্তমানে হচ্ছে। যেসব নিদর্শন এখনো প্রকাশ হয়নি আজ সে সব নিদর্শন নিয়ে লিখবো।
১৷ মীরাছ (ত্যাজ্য সম্পদ) বণ্টনের সুযোগ থাকবে না৷ ২৷ গণিমত (যুদ্ধ-লব্ধ সম্পদ) নিয়ে আনন্দ উল্লাসের সুযোগ থাকবে না৷ ৩৷তীর-তলোয়ার এবং অশ্বের যুগ পুনঃ প্রত্যাবর্তন।
৪। বাইতুল মাকদিসের আশপাশে (জেরুজালেমে) জনবসতি বৃদ্ধি ।৫৷বিনাশের সম্মুখীন হয়ে মদীনা -বসতি ও আগন্তুক শূন্য। ৬৷ মদীনা থেকে সকল কাফের-মুনাফিকের নির্বাসন।৭৷পর্বতমালা-র স্থানচ্যুতি
৮৷“কাহতান” গোত্র থেকে এক মহান মাণ্যবর ব্যক্তির আবির্ভাব।
৯।”জাহজাহ” নামক ব্যক্তির আত্মপ্রকাশ।১০।চতুষ্পদ জন্তু এবং জড়বস্তুর সাথে মানুষের বাক্যালাপ।১১।লাঠির অগ্রভাগের সাথে মানুষের বাক্যালাপ। ১২।জুতার ফিতার সাথে মানুষের বাক্যালাপ।১৩। ঘরে কী হচ্ছে.. উরুর পেশি মানুষকে এর সংবাদ প্রদান।
কেয়ামতের ক্ষুদ্রতম নিদর্শন থেকে একটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
৪৷সাহাবা যুগের অবসান
নবীজীর পর সৃষ্টির সেরা মানব জাতি হচ্ছেন সাহাবায়ে কেরাম । আবূ মূছা রা. বর্ণিত হাদিসে নবী করীম সা. বলেন, “তারকারাজি – আসমানের নিরাপত্তা প্রহরী। তারাকারাজি বিলুপ্ত হলে আকাশের অন্তিম ঘনিয়ে আসবে । তদ্রুপ আমার সাথীদের জন্য আমি হলাম নিরাপত্তা প্রহরী। আমি চলে গেলে সাহাবাদের অন্তিম ঘনিয়ে আসবে । সাহাবাগণ আমার উম্মতের নিরাপত্তা প্রহরী । সাহাবা যুগের অবসান হলে উম্মতের অন্তিম ঘনিয়ে আসবে।” (মুসলিম-৬৬২৯)
উপরোক্ত হাদিসে সাহাবা যুগের অবসানকে দু’টি নিদর্শনের সাথে বেঁধে দেয়া হয়েছে, তারকারাজি বিলুপ্ত হওয়া, উল্কা অবতীর্ণ হওয়া, নবী করীম সা.-এর ইন্তেকাল ।
• অপর হাদিসে “সৎ নিষ্ঠাবান ব্যক্তিগণ একের পর এক বিদায় হয়ে যাবেন, সবশেষে দুশ্চরিত্র ব্যক্তিদের উপর কেয়ামত আপতিত হবে ।
সূত্রঃ মহাপ্রলইয়,ডা. মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুর রহমান আরেফী।