‘খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন’

উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নেয়ার সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘চিকিৎসার জন্য ম্যাডামের বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি এখন মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।’

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. জাহিদ বলেন, ‘তার (খালেদা জিয়া) শারীরিক সুস্থতাটা হচ্ছে নম্বর-ওয়ান প্রায়োরিটি। এ জন্যই মেডিক্যাল বোর্ড যখনই মনে করবে তাকে নেয়া সম্ভব, আমরা তখনই নিয়ে যাব।’

তিনি বলেন, ‘তার (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় চিকিৎসকরা এখনো মনে করতে পারছেন না ১২-১৩ ঘণ্টা ভ্রমণ করার মতো অবস্থায় তিনি আছেন। একটু এদিক-সেদিক হলেই তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করেন, বিভিন্ন ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হয়। এ জন্যই তাকে সার্বক্ষণিক নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হয়।’

বিএনপি চেয়ারপারসনকে দেশের বাইরে নেয়ার প্রস্তুতি সম্পর্কে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি যেটা দরকার সেটা পুরো সম্পন্ন হয়েছে। যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোন হাসপাতালে নেব সেটা চূড়ান্ত করেছি। কিভাবে নেব সেটাও ঠিক করে রেখেছি। আইনগত যে জটিলতা আছে, সেটা বর্তমান সরকারের যারা আইনের সাথে সম্পৃক্ত, তাদের সাথে আমরা কথা বলেছি।’

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে নেয়া দরকার। সেখানে নিতে হলেও তার শারীরিক সুস্থতা প্রয়োজন। যত দিন যাচ্ছে, প্রত্যেকটা রোগ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। যে কারণে কখনো দেখা যাচ্ছে উনি ভালো আছেন, আবার অল্পতেই দেখা যাচ্ছে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।’

তিনি বলেন, ‘কারাগারে থাকা অবস্থায় চিকিৎসা করলে এমন হতো না, কিন্তু তিনি কারাগারে কোনো চিকিৎসা পাননি। এরপর গৃহবন্দী অবস্থায় তার চিকিৎসা চলছে।’

বর্তমানে রাজনৈতিক বিষয় ম্যাডাম কোনো পর্যবেক্ষণ রাখছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, ‘আন্দোলনে যারা পঙ্গু, চোখ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন এগুলো নিয়ে ম্যাডাম অনুভব করেছেন। সেই অনুভব থেকে তিনি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠিয়েছেন, আমি চক্ষু হাসপাতালে গিয়েছিলাম। ম্যাডাম বলেছেন, সরকার তো আহতদের সহায়তা করবে, সেই সাথে তার দল যেন সর্বোচ্চ টুকু দিয়ে পুনর্বাসনের জন্য আহতদের পাশে দাঁড়ায়।’

গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কেবিনে রেখে তার চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস ও কিডনি জটিলতা, আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অনেক জীবন বাঁচাতে সহায়ক হয়েছে।

নূর নিউজ

পুলিশ থেকে ছাড়া পেয়ে মারধরের বর্ণনা দিলেন গয়েশ্বর 

নূর নিউজ

লকডাউনে অফিস-যানবাহন বন্ধ, বাইরে বের হওয়া যাবে না

আনসারুল হক