খেলাফত মজলিসের জোটত্যাগ নিয়ে ফখরুলের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া

খেলাফত মজলিসের ২০ দলীয় জোট ছাড়ায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যেকোনো দলেরই জোট ছাড়ার অধিকার বা স্বাধীনতা রয়েছে। স্বতন্ত্র দল হিসেবে যেকোনো দল যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। এটা তাদের দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

তিনি বলেন, খেলাফত মজলিস যদি মনে করে, তারা ২০ দলীয় জোট থাকবে না, সেই স্বাধীনতা তাদের আছে। মূলত আমরা অনেকগুলো রাজনৈতিক দল একটি লক্ষ্য নিয়ে জোটবদ্ধভাবে এগিয়ে গিয়েছিলাম। এখন তারা যদি মনে করে জোটের প্রয়োজনীয়তা নেই, তাহলে তারা ছেড়ে যেতেই পারে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।

আজ (১ অক্টোবর) শুক্রবার বিকালে গণমাধ্যমকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে, শুক্রবার বিকালে ৪ টায় রাজধানীর বাদ জুমা পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডস্থ সিগাল রেস্টুরেন্টে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার বিশেষ অধিবেশন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন দলটির আমির অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাকের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন।

চলতি বছরের ১৪ জুলাই বিকালে রাজধানীর পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকে জোট ছাড়ার ঘোষণা দেয় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের একাংশ।এরআগে ২০১৯ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন এই জোট ছেড়েছিল আন্দালিভ রহমান পার্থের বিজেপি।

লিখিত বক্তব্য ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, খেলাফত মজলিস একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতির প্রয়ােজনে সর্বদা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন-সংগ্রামে খেলাফত মজলিস বিশ্বাসী।

একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন হিসেবে দীর্ঘ তিন দশকেরও অধিক সময় রাজনৈতিক অঙ্গনে দেশ, জাতি, ইসলাম ও জনগণের পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে আসছে। খেলাফত মজলিস মনে করে, দেশের প্রতিটি নাগরিকের রাজনৈতিক মতাদর্শ লালন ও পালন করার অধিকার আছে।

যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানেও স্বীকৃত। একটি সরব-সক্রিয় নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে খেলাফত মজলিসের রাজনৈতিক কর্মকৌশল সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় সময়ে সময়ে পর্যালােচনা করে, দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা প্রয়ােজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে।

বিগত ২০১৯ সালের ২৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত মজলিসে শূরার অধিবেশনে ২০ দলীয় জোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, পরবর্তী সিদ্ধান্তের পূর্ব পর্যন্ত খেলাফত মজলিস জোটের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।

সে অনুযায়ী দীর্ঘ দুই বছরের অধিক সময় ধরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আসছে।রাজনৈতিক জোট ইস্যু কেন্দ্রিক গঠিত হয়। জোট কোন স্থায়ী বিষয় নয়।

খেলাফত মজলিস ২০ দলীয় জোটে দীর্ঘ ২২ (বাইশ) বছর যাবত আছে। ২০১৯ সাল থেকে ২০ দলীয় জোটের দৃশ্যমান রাজনৈতিক তৎপরতা ও কর্মসূচী নেই। ২০১৮ সালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের মধ্য দিয়ে ২০ দলীয় জোটকে কার্যত রাজনৈতিকভাবে অকার্যকর করা হয়।

এমতাবস্থায় আদর্শিক, সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায়, ২০১৯ সালের মজলিসে শূরায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খেলাফত মজলিস আজকের মজলিসে শূরার অধিবেশনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে- খেলাফত মজলিস একটি আদর্শিক রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে স্বকীয়-স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে ময়দানে ভূমিকা রাখবে এবং এখন থেকে ২০ দলীয়।

জোটসহ সকল রাজনৈতিক জোটের সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করছে। আরাে উল্লেখ্য যে, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সংগঠনের মহাসচিব বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, লেখক, গবেষক ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ কারারুদ্ধ জননেতা ড. আহমদ আবদুল কাদের-এর অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানায়। একই সাথে গ্রেফতারকৃত উলামায়ে কেরাম ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের আশু মুক্তির দাবীও করে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আমরা সংবিধান মেনেই নির্বাচন করব: আইনমন্ত্রী

নূর নিউজ

শামীম ওসমানের অনুরোধ রক্ষার্থে নির্বাচন করবে না হাতপাখা

নূর নিউজ

ওলামায়ে কেরাম ঐক্যবদ্ধ হলে এদেশে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা সম্ভব

নূর নিউজ