বিবৃতি: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেছেন, মানুষের স্বাভাবিক জীবন ধারণের জন্য যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রীর প্রয়োজন হয় তার উর্ধ্বমূখী মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এর মূল কারণ হলো সরকার নিজেই একটি সিন্ডেকেটে আবদ্ধ। যার কারণে কোন বাণিজ্যিক সিন্ডিকেট ভাঙ্গা সরকারের পক্ষে অসম্ভব। বিদ্যুৎ-গ্যাস, চাল, ডাল, তেল, চিনি, দেশীয় উৎপাদিত সবজির বাজারও এখন সিন্ডিকেটদের দখলে। সরকারসহ সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী সকল প্রতিষ্ঠান নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন ছাড়া কিছুই করতে পারে না। এভাবে একটি দেশ, একটি জাতী চলতে পারে না।
তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তেজগাঁও থানা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত থানা সম্মেলন ২০২৩-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী ইলিয়াছ হোসাইনের পরিচালনায় কারান বাজারস্থ একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বিশিষ্ট আইনজীবী এ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, নগর প্রচার সম্পাদক মুফতী মাছউদুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব হাফেজ আবুল হোসেন, শফিকুল্লাহ, আব্দুল মান্নান, জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।
সম্মেলন শেষে আলহাজ্ব মুহাম্মদ আবুল কাশেমকে সভাপতি ও মাওলানা সাব্বির খানকে সেক্রেটারী ঘোষণা করা হয়।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, নিশি রাতে যারা মানুষের ভোটের অধিকার ডাকাতি করেছিল তারাই আজ দেশবাসীর জীবনযাত্রার অধিকারটুকুও ডাকাতি করে নিয়ে গেছে। রাজনীতির গুণগত ও আদর্শিক পরিবর্তন ছাড়া এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। আর গুণগত পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন যোগ্য, দক্ষ ও আদর্শিক নেতৃত্ব।
জাফর ইকবাল ন্যাশনাল জিওগ্রাফি থেকে কপি করা কনটেন্ট থেকে যেসব বিকৃত কনটেন্ট ইতিমধ্যেই পাঠ্য-পুস্তকে স্থান পেয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন হলে এদেশে জারজ শিশুর সীমা অতিক্রম করবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ঘঈঞই সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ে ৫১- ৫৬ পৃষ্ঠায় ‘শরীফার গল্প’ শিরোনামের লেখায় ৫১ পৃষ্ঠায় মূল চরিত্র শরীফা বলছে, “আমার শরীরটা ছেলেদের মতো হলেও আমি মনে একজন মেয়ে… ৫২ পৃষ্ঠায় মূল চরিত্র শরীফাকে একজন বলছে, “আমরা নারী বা পুরুষ নই। আমরা হলাম ট্রান্সজেন্ডার”। এভাবেই ভয়াবহতার দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রান্সজেন্ডার সিলেবাসভুক্ত করে নতুন প্রজন্মকে নৈতিকভাবে ধ্বংস করার মিশন নিয়ে কাজ করছে এই জাফর ইকবালরা। এদের শাস্তি হওয়া উচিত।