দোয়া সব ইবাদতের মূল। দোয়া ছাড়া আর কোনো কিছুই আল্লাহর সিদ্ধান্তকে বদলাতে পারে না। আর সৎকাজ ছাড়া অন্য কোনো কিছুই হায়াত বাড়াতে পারে না।’ (তিরমিজি ২১৩৯)
দোয়া করলে আল্লাহ বান্দাকে কখনোই ফিরিয়ে দেন না।
কুরআনের আয়াত ও নবীজির হাদিস দ্বারা প্রমাণিত, দোয়া গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। দোয়া কবুলের জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। অনেক মানুষ বলেন, আমি তো দোয়া করি কিন্তু আমার দোয়া কবুল হয় না। আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া কবুল হওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত রয়েছে।
দোয়া কবুলের তিন আমল
১. হালাল উপার্জন
হালাল উপার্জন দোয়া কবুলের প্রধান শর্ত। হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত দীর্ঘ এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, দীর্ঘ সফরের ক্লান্তিতে যার মাথার চুল বিক্ষিপ্ত, অবিন্যস্ত ও পুরো শরীর ধুলোমলিন। সে আকাশের দিকে হাত প্রশস্ত করে বলে, হে আমার প্রভু! হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য ও পানীয় হারাম, তার পোশাক হারাম, তার জীবন-জীবিকাও হারাম। এমতাবস্থায় তার দোয়া কিভাবে কবুল হতে পারে? (তিরমিজি ২৯৮৯)
২. হতাশ না হওয়া ও তাড়াহুড়া না করা
দোয়া করলে আল্লাহ বান্দাকে কখনোই ফিরিয়ে দেন না। হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দোয়া করলাম, কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না। (বুখারি ৬৩৪০, মুসলিম ২৭৩৫)
৩. আল্লাহর উপর বিশ্বাস ও আস্থা নিয়ে দোয়া করা
হজরত আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
তোমরা আল্লাহর কাছে কবুল হওয়ার পূর্ণ আস্থা নিয়ে দোয়া করো। জেনে রেখো, আল্লাহ অমনোযোগী ও অসাড় মনের দোয়া কবুল করেন না। (তিরমিজি ৩৪৭৯)
দোয়ার কিছু আদব আছে। সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। পবিত্রতা অর্জনের পর দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা সেই দোয়া কবুল করবেন। বিনয়ের সঙ্গে দু’হাত তুলে দোয়া করা। মিনতিভরা কণ্ঠে দোয়া করা। মিনতি ও নম্রতার সঙ্গে দোয়া করলে তা ইবাদত হিসেবে গণ্য করা হয়।