তিউনিসিয়ার একটি মসজিদের ইমামকে নামাজের সময় সুরা আলে-ইমরান থেকে আয়াত তেলাওয়াত করার কারণে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত শনিবার ইসলামি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে মাগরিবের সময় ওই আয়াত পাঠ করেন তিনি।
মিডল ইস্ট মনিটরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোহাম্মদ জাইন এদ্দিন নামে ওই ইমাম নাবিউলের পূর্ব গভর্নরেটের আল-সালাম মসজিদে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে ইমামতি করতেন।
গত শনিবার (৬ আগস্ট) তিউনিসিয়ার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রীর উপস্থিতিতে মাগরিবের নামাজে ইমামতি করেন তিনি। নামাজের সময় সূরা আলে-ইমরানের ২৬ এবং ১৪৪ নং আয়াত পাঠ করেন।
সূরা আলে-ইমরানের ২৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘হে আল্লাহ! তুমি সমুদয় রাজ্যের মালিক, যাকে ইচ্ছে রাজ্য দান কর আর যার থেকে ইচ্ছে রাজ্য কেড়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছে সম্মানিত কর আর যাকে ইচ্ছে অপদস্থ কর, তোমারই হাতে সব রকম কল্যাণ, নিশ্চয়ই তুমি সকল বস্তুর ওপর ক্ষমতাবান’।
এছাড়া সূরা আলে-ইমরানের ১৪৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আর মুহাম্মদ একজন রাসূল মাত্র; তার আগে বহু রাসূল গত হয়েছেন। কাজেই যদি তিনি মারা যান বা নিহত হন তবে কি তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে? আর কেউ পৃষ্ঠ প্রদর্শন করলে সে কখনো আল্লাহর ক্ষতি করতে পারবে না; আর আল্লাহ্ শিগগিরই কৃতজ্ঞদেরকে পুরস্কৃত করবেন।’
মহানবীর (সা.) এর প্রয়াণের পর এই আয়াতটি সাহাবীগণ এই আয়াতটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। কারণ তখন ইসলামের পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যাচ্ছিলেন অনেকে।
পরবর্তীতে ইমাম জাইন এক বিবৃতিতে জানান, ধর্মমন্ত্রী ইব্রাহিম চাইবি নামাজ শেষে ওই আয়াত পড়ার জন্য ‘অভ্যুত্থানের’ উল্লেখ করে রসিকতা করেছিলেন। তিনি আরও জানান, মন্ত্রী তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে- ‘এই আয়াতগুলি এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।’
ইমাম জাইন এদ্দিন আরও জানান, ‘পরে তিনি গভর্নরেট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর ফোনকল পেয়ে হতবাক হয়ে পড়েন।’
যদিও তিউনিসিয়ান জেনারেল লেবার ইউনিয়ন- ইউজিটিটি’র সিন্ডিকেট অফ রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্সের সাধারণ সম্পাদক আবদেল সালাম আল-আতভি বলেছেন, ইমামকে বরখাস্ত করার বিষয়ে তদন্ত করা হবে। এদিকে দেশটির ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ ঘটনায় এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। সূত্র: মিডলিস্ট মনিটর