নির্বাচনী খেলা শেষ হলেও রাজনীতির খেলা চলবে

নির্বাচনের খেলা শেষ হলেও রাজনীতির খেলা চলবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় উপলক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী খেলা শেষ হয়েছে। এখন রাজনীতির খেলা চলবে।’

তিনি বলেন, ‘এখনো পথে পথে নানা বাধাবিপত্তি চলছে। বিএনপি, গণতন্ত্রের শত্রুরা এখনো হুমকি দিচ্ছে। মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। তারেক রহমান আর রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়েছে। সে দূর থেকে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কানাডার আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এদের চেতনায় স্বাধীনতা নেই। এদের চেতনায় দ্বিজাতিতত্ত্ব। আমাদের সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। মাথা গরম করা যাবে না। এতবড় নির্বাচন। কিন্তু তেমন কোনো সহিংসতা হয়নি। পৃথিবীর বহু দেশে নির্বাচন হয়। কঙ্গোতে দেখলাম ইন্টারনেট বন্ধ। বিদ্যুৎ নেই। পরে ফল প্রকাশ। এমন নির্বাচন আমরা করিনি।’

তিনি বলেন, ‘গত ৪৮ বছরের সবচেয়ে সাহসী নেতা শেখ হাসিনা। তিনি আমাদের আশার বাতিঘর। বীর বাঙালির বীরকন্যা। সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মানুষকে ভালোবেসে মানুষের মধ্যে ঠাঁই করে নিয়েছেন। আপনাকে অভিনন্দন। আপনি সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। আপনাকে অভিনন্দন।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৪২ বছর ধরে আপনি নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন, সেই দলের বিপুল বিজয়ে আপনাকে অভিনন্দন। আগামীকাল সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ এবং সংসদে সংসদ পার্লামেন্ট পার্টির বৈঠকে আমাদের নেতা সংসদ নেতা নির্বাচিত হওয়ার মাহিন্দ্রক্ষণ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটা একটা মাফিয়ার দেশে পরিণত হয়েছে। জনগণের ভোটে নির্বাচত নয় এই সরকার আজকে জোর করে ক্ষমতা দখল করে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। তিনি আরও বলেন, আমরা যখন চুরি-চামারির কথা বলি, গায়ে লাগে তাদের। গায়ে লাগার কিছু নাই, চুরি করলে মাথা নিচু করে থাকতে হবে। সময় আসছে, যখন তাদের মাথা নিচু করে এ দেশ থেকে চলে যেতে হবে। আজ শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ফখরুল বলেন, প্রত্যেকটি চোরের-ডাকাতের বিচার হবে এ দেশে। তারা বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। তাই আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, এরা কোনো নির্বাচিত সরকার নয়। এরা কোনো নির্বাচনে জয় লাভ করতে পারেনি। শুধুমাত্র রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিভিন্ন আধিপত্যবাদী, পরাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। আমাদের সমস্ত স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্ক্ষা আছে তা ধ্বংস করে দিচ্ছে। ৬ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গুম করেছে। ৩৫ লাখের বেশি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তারা একই কায়দায় এ দেশ শাসন করতে চায়, বিরোধী সব মতকে দমন করতে চায়, গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করতে চায়। আবারও তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ত ঝরিয়েছে। আমাদের ছাত্রদলের নেতাদের নির্মমভাবে পিটিয়ে-গুলি করে আহত করেছে। খুলনায় গত পরশু তারা মিটিংয়ে আক্রমণ করেছে। বিভিন্ন জায়গায় তারা সন্ত্রাস করে, ভয় দেখিয়ে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আবারও মানুষের অধিকার আদায়ের যে সংগ্রাম তা ধ্বংস করে দিতে চায়। এবার জেগে উঠছে মানুষ। আমাদের নেতা তারেক রহমান যে পতাকা উত্তোলন করেছেন তা এ দেশের মানুষের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পতাকা। যে পতাকা শহীদ জিয়াউর রহমান তুলে ধরেছিলেন, মানুষের সামনে নিয়ে এসেছিলেন; বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা কোথাও চাকরি পাই না। আমাদের ছেলে-মেয়েরা পাস করে যায় কিন্তু তাদের চাকরি দেওয়া হয় না। অথচ ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে; ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে; বিনা পয়সায় সার দেবে। যেখানে যাবে শুধু পয়সা। পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি পেতে হলে ২০ লাখ টাকা কমপক্ষে লাগে, তাও পাবেন না যদি আওয়ামী লীগ না হন। এ দেশকে তারা লুটপাটের রাজত্ব বানিয়েছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে সত্যিকার অর্থে জনগণের রাষ্ট্রে পরিণত করার আহ্বান জানান তিনি। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, এই দেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই সরকার যে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে, সেই কমিশনের পরিচালনায় সবার অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন হবে।

নূর নিউজ

তজুমদ্দিনে ইসলামী আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ওয়ার্ড কমিটি গঠন 

নূর নিউজ

বিএনপির বাধাহীন প্রথম সমাবেশ

নূর নিউজ