পূজাকালীন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যেন নোংরা রাজনীতির শিকার না হয়

আবহমানকাল থেকেই বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষের বসবাস। যারযার ধর্ম পালন করে আসছে বহুকাল ধরেই। মুসলমান যেমন তাদের ধর্মীয় এবাদত বন্দেগি করে আসছে, ঠিক তেমনিভাবে প্রত্যেক ধর্মের মানুষ তাদের স্ব স্ব ধর্মের উপাসনা, আচার অনুষ্ঠান পালন করে যাচ্ছে। কারো ধর্মপালনে বাধা প্রদান করা হয়না। জোরজবরদস্তি ও করা হয় না।বরং এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের আচার অনুষ্ঠান পালনে প্রয়োজনবোধে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। যা মূলত ইসলাম ও বাংলাদেশেরই সংস্কৃতি।

অল্পকিছু দিন পরেই আসছে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দূর্গা পূজা। এই পূজাকে কেন্দ্র করে কতিপয় স্বার্থপর ব্যক্তি তাদের ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলে অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দেয়।

গুজব ছড়িয়ে অথবা প্রতিমা ভাংচুর করার মাধ্যমে একশ্রেণির সুবিধাবাদীরা হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর উস্কানি দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল এক অনন্য দৃষ্টান্ত। হিন্দু সম্প্রদায়ের পুজো অর্চনা আসলেই কেউ কেউ রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে অনেক সময় হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে দাঙ্গা বাধানোর অপচেষ্টা করে।কেউ ভিনদেশিদের অনুকম্পা পেতে আবার কেউ ইসলামকে সাম্প্রদায়িক ধর্ম প্রমাণে ন্যক্কারজনক এই কাজ গুলো করে থাকে।

তাই আসন্ন দূর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কেউ যেন আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে সেদিকে খুব মনোযোগ দিতে হবে।

স্বার্থবাদীরা উসকে দিয়ে একটি ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে তৎপর থাকে সবসময়।

অনেক সময় ইসলাম ও আলেম উলামাদের ভিন্নরুপে চিত্রিত করার এক ধরনের অপচেষ্টা করা হয় এই সময় গুলোতে। অতএব খুব সাবধানে থাকতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে যেন কেউ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বলির পাঠা বানাতে না পারে অত্যন্ত সুক্ষ্ণভাবে দৃষ্টি রাখতে হবে।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বারবার নোংরা রাজনীতির বলির পাঠা বানানো হয়, যা বোধগম্য নয়। তারাও স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। তাদেরও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনের অধিকার রয়েছে। তবে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ নোংরা রাজনীতির খেলায় বারবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ব্যবহার করে একশ্রেণির সুবিধাবাদীরা বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করার অপপ্রয়াস চালায়। ব্যক্তি স্বার্থকে তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের লেভেল লাগিয়ে দেয়।

তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশে ধর্মীয় দাঙ্গায় রুপ দিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিলে দেশকে অস্থিতিশীল করে রাখা।

মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান

(নাজিমে দারুল ইকামাহ, জামিয়া কোরআনিয়া সৈয়দা সৈয়দুন্নেছা ও কারিগরি শিক্ষালয় কাজীপাড়া, ব্রাক্ষণবাড়ীয়া)

এ জাতীয় আরো সংবাদ

১১ মে’র মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

নূর নিউজ

শিথিল হচ্ছে লকডাউন, চালু হচ্ছে গণপরিবহন

আনসারুল হক

সংস্কৃতি চর্চায় প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

নূর নিউজ