বাসস: বন্যার কারণে খোলা সিলেট নগরীতে ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১০ হাজার বন্যার্তদেরক প্রতিদিন দুই বেলা করে রান্না করা খাবার ও শুকনো খাবার সরবরাহ করছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।
আশ্রয় কেন্দ্রে আশা লোকজনের মধ্যে প্রথমে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছিলো। তবে সোমবার রাত থেকে বন্যার্তদের রান্না করা খাবার খাওয়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সিসিক। রাত ১০টায় নগরভবনের সামনে একদিকে খাবার তৈরি হচ্ছিল। আবার অন্যদিকে প্রস্তুত খাবার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যান স্বেচ্ছাসেক ও সিসিক কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
এদিকে আবার বানভাসি কিন্তু আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছেন না, চক্ষুলজ্জায় কারও কাছে খাবারও চাইতে পারছেন না, এমন পরিবারের সদস্যদের সিসিকের কন্ট্রোল রুমে ০১৯৫৮২৮৪৮০০ নম্বরে যোগাযোগ করলে গোপনেই তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র মখলিছুর রহমান কামরান। তিনি জানান, মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের নির্দেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন আমরা দুই বেলা প্রায় ১০ হাজার মানুষকে রান্না করা খাবার খাওয়াবো। পাশাপাশি শুকনো খাবার বিতরণও অব্যাহত থাকবে। বর্তমানে সিলেট নগরীর বন্যা আক্রান্ত বিভিন্ন ওয়ার্ডে মোট ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
বন্যায় সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার পাশাপাশি সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত দুর্গত হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন। বন্যার কারনে অন্তত ২৮টি ওয়ার্ডের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে থাকা বানভাসীদের জন্য মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশনায় চলছে ত্রাণ তৎপরতা। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়রুজ্জামান চৌধুরী বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। পারিবারিক একটা জরুরী কাজে তিনি সেখানে গেলেও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন নগরভবন এবং ভারপ্রাপ্ত মেয়রসহ কাউন্সিলরদের সাথে। দিয়ে যাচ্ছেন প্রয়োজনীয় নির্দেশনা। ইতিপূর্বে বন্যা মোকাবেলার প্রস্তুতি নিতে হয়েছে জরুরী সভা। কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির কারনে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী লন্ডন সফর সংক্ষিপ্ত করে আগামী বৃহস্পতিবার দেশে ফিরছেন বলে সিসিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
previous post
next post