বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া শুরু দক্ষিণ কোরিয়ার

দক্ষিণ কোরিয়ায় ফের বাংলাদেশের এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) কর্মী নেওয়া শুরু করেছে। বুধবার (৬ এপ্রিল) কোরিয়ান এয়ারের ৯ নম্বর চার্টার্ড ফ্লাইট রাত পৌনে ১১টার দিকে ১৩৭ জন রেগুলার ও কমিটেড কর্মী নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশ থেকে ইপিএস প্রোগ্রামের মাধ্যমে মাঝারি ও নিম্ন-দক্ষ বিদেশি কর্মী নেয় দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। ১৬টি দেশের আহ্বান ও অনুরোধে সাড়া দিয়ে আবারও সীমিত পরিসরে কর্মী নেওয়া শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হলে ২০২০ সালের মার্চে বিদেশি কর্মী নেওয়া স্থগিত করেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। এরপর প্রায় ২১ মাস পর গত ডিসেম্বর থেকে ফের বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া শুরু হয়।

মহামারির পর প্রায় ৩৫৩ জন বাংলাদেশি ইপিএসকর্মী দক্ষিণ কোরিয়ায় গেছেন। মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ায় যান প্রায় ১৫০ জন কর্মী। নতুন বছরে যে ৯২ জন কর্মী দক্ষিণ কোরিয়া গেছেন, তাদের মধ্যে ৪৪ জন নতুন নিয়োগ পাওয়া ও বাকিরা পুরোনো কর্মী।

ফ্লাইটের নতুন ইপিএসকর্মী মো. পারভেজ হাওলাদার বলেন, সব বিপদ-আপদ মুক্ত হয়ে সহি-সালামতে আমরা দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মস্থলে পৌঁছাতে পেরেছি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

এ বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং গুণ বলেন, বাংলাদেশি কর্মীরা কোরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। শুধু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নয় কোরিয়ান শিল্পেও শ্রমশক্তি সরবরাহে অবদান রেখেছে বাংলাদেশি কর্মীরা।

তিনি বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি ইপিএসকর্মী নেবে বলেও আশার কথা জানান। ইপিএস পদ্ধতিতে এ পর্যন্ত মোট ২০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি রেমিট্যান্সযোদ্ধা দক্ষিণ কোরিয়াতে পাড়ি জমিয়েছেন।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এবার ইসলাম ফোবিয়া দূর করতে প্রতিনিধি নিয়োগ করতে যাচ্ছে কানাডা

নূর নিউজ

বুখারেস্ট বিমানবন্দরে ফ্লাইটের অপেক্ষায় হাদিসুরের মরদেহ

নূর নিউজ

চীনে ওয়াইজডেমো ক্যাম্পেইনে শীর্ষ দশে বাংলাদেশি চিকিৎসক

নূর নিউজ