বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের প্রস্তাবনাকে স্বাগত; তবে খোদাভীরু নেতৃত্ব ও ইসলাম সমর্থিত নীতি জরুরী

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫২ বছর অতিক্রম করলেও শাসন কাঠামো,নীতি-পদ্ধতি পুরোনো উপনিবেশিক আমলেরই থেকে গেছে বরং সাংবিধানিকভাবে একক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠাগুলোকে কুক্ষিগত করে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার পাঁয়তারা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে যারাই ক্ষমতায় ছিলো তারাই এই মেরামতযোগ্য অকার্যকর রাষ্ট্রব্যবস্থার সুযোগ নিয়েছে। ইতোপূর্বে ক্ষমতায় থাকা সবগুলো দলের প্রবণতা একই রকম ছিলো ও আছে।

মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শুরু থেকেই রাষ্ট্র মেরামত করার কথা বলে এসেছে। রাষ্ট্র মেরামতের বক্তব্যকে গণদাবিতে পরিণত করতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমীর দলের নামই রেখেছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন। আজকে যখন রাষ্ট্র মেরামতের রুপরেখা নিয়ে অতীতে ক্ষমতার স্বাদ নেয়া; বর্তমান বিরোধী রাজনৈতিক দলের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে এবং তারা একটি ঘোষণা দিয়েছেন তখন আমরা এটাকে স্বাগত জানাই।

আমরা বিশ্বাস করতে চাই এই রুপরেখা প্রস্তাবনা নিছকই রাজনৈতিক বক্তব্য না বরং দৃঢ় সদিচ্ছার প্রতিফলন। তিনি বলেন, তবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করিয়ে দিতে চায় যে, বাঙালী মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রের মেরামতের প্রসঙ্গে নীতিমালা হিসেবে ইসলামকে ভিত্তি না ধরলে দেশ আবারো পথ হারাবে। ইসলাম এদেশের মানুষের হাজার বছরের আনন্দ-কান্না, আন্দোলন-সংগ্রামের প্রধান প্রেরণা। হাজার বছর ধরে ইসলাম এদেশের মানুষকে পথ দেখিয়েছে। সেই মানুষদের ভূখন্ডে গঠিত রাষ্ট্রের মেরামতে ইসলামই একমাত্র সমাধান। একই সাথে খোদাভীরু নেতৃত্ব প্রয়োজন হবে।

কারণ অসৎ নেতৃত্ব যে কোন ভালো চিন্তা ও উদ্যোগকে সর্বনাশ করে দিতে পারে;যা বারবার প্রমাণিত।

মাওলানা গাজী আতাউর রহমান আরো বলেন, দেশে বিগত ৫২ বছরে কোন সরকারই একটি টেকসই ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেনি। বিরোধী দল রাষ্ট্র মেরামতের কথা বললেও নির্বাচন ব্যবস্থার বিষয়ে নতুন কোন টেকসই প্রস্তাবনা দিতে পারেনি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ২ জানুয়ারীর জাতীয় সম্মেলনে এ বিষয়ে পুর্ণাঙ্গ ও টেকসই একটি রূপরেখা দিবে।

 

আজ মঙ্গলবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দলের যুগ্ম মহসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলমের পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম-মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, সহকারি সাংগঠনিকস ম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম রুহুল আমীন, বরকত উল্লাহ লতিফ, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, এ্যাডভোকেট মোঃলুৎফর রহমান শেখ, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মুফ্তী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, বীর মুুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম প্রমুখ।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটা একটা মাফিয়ার দেশে পরিণত হয়েছে। জনগণের ভোটে নির্বাচত নয় এই সরকার আজকে জোর করে ক্ষমতা দখল করে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। তিনি আরও বলেন, আমরা যখন চুরি-চামারির কথা বলি, গায়ে লাগে তাদের। গায়ে লাগার কিছু নাই, চুরি করলে মাথা নিচু করে থাকতে হবে। সময় আসছে, যখন তাদের মাথা নিচু করে এ দেশ থেকে চলে যেতে হবে। আজ শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ফখরুল বলেন, প্রত্যেকটি চোরের-ডাকাতের বিচার হবে এ দেশে। তারা বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। তাই আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, এরা কোনো নির্বাচিত সরকার নয়। এরা কোনো নির্বাচনে জয় লাভ করতে পারেনি। শুধুমাত্র রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিভিন্ন আধিপত্যবাদী, পরাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। আমাদের সমস্ত স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্ক্ষা আছে তা ধ্বংস করে দিচ্ছে। ৬ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গুম করেছে। ৩৫ লাখের বেশি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তারা একই কায়দায় এ দেশ শাসন করতে চায়, বিরোধী সব মতকে দমন করতে চায়, গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করতে চায়। আবারও তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ত ঝরিয়েছে। আমাদের ছাত্রদলের নেতাদের নির্মমভাবে পিটিয়ে-গুলি করে আহত করেছে। খুলনায় গত পরশু তারা মিটিংয়ে আক্রমণ করেছে। বিভিন্ন জায়গায় তারা সন্ত্রাস করে, ভয় দেখিয়ে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আবারও মানুষের অধিকার আদায়ের যে সংগ্রাম তা ধ্বংস করে দিতে চায়। এবার জেগে উঠছে মানুষ। আমাদের নেতা তারেক রহমান যে পতাকা উত্তোলন করেছেন তা এ দেশের মানুষের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পতাকা। যে পতাকা শহীদ জিয়াউর রহমান তুলে ধরেছিলেন, মানুষের সামনে নিয়ে এসেছিলেন; বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা কোথাও চাকরি পাই না। আমাদের ছেলে-মেয়েরা পাস করে যায় কিন্তু তাদের চাকরি দেওয়া হয় না। অথচ ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে; ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে; বিনা পয়সায় সার দেবে। যেখানে যাবে শুধু পয়সা। পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি পেতে হলে ২০ লাখ টাকা কমপক্ষে লাগে, তাও পাবেন না যদি আওয়ামী লীগ না হন। এ দেশকে তারা লুটপাটের রাজত্ব বানিয়েছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে সত্যিকার অর্থে জনগণের রাষ্ট্রে পরিণত করার আহ্বান জানান তিনি। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, এই দেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই সরকার যে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে, সেই কমিশনের পরিচালনায় সবার অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন হবে।

নূর নিউজ

ক্ষুধার্ত মানুষের মাঝে আন-নূর হেল্পিং হ্যান্ড বাংলাদেশের খাবার বিতরণ

আনসারুল হক

আমন্ত্রণ পেলে বিএনপিও ভারত সফরে যাবে 

নূর নিউজ