বিদায়বেলায় ‘আল্লাহ হাফেজ’ বলা কি সুন্নত?

মুসলিম সমাজের স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী কেউ কখনো কারো সঙ্গে দেখা-সাক্ষাত করতে গেলে একে-অপরকে সালাম দিয়ে থাকেন। পরস্পরের দেখা সাক্ষাতের সময় সালাম দেওয়া সুন্নত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও সালাম দিতেন এবং সাহাবিদেরকেও তিনি সালাম দেওয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন।

হাদিস শরিফে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা যতক্ষণ ঈমান আনবে না, ততক্ষণ বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর যতক্ষণ তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা সৃষ্টি হবে না, ততক্ষণ তোমরা মুমিনও হতে পারবে না। আমি কি তোমাদেরকে একটি কাজের কথা বলে দেবো, যা করলে তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা সৃষ্টি হবে? তোমাদের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন ঘটাও।’ -(সহিহ মুসলিম, হাদিস, ৫৪)

জান্নাতেও সালামের প্রচলন থাকবে। এক জান্নাতি অপর জান্নাতিকে সালাম দেবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সেখানে তাদের অভিবাদন হবে সালাম।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত, ১০)

মুসলিম সমাজে অনেক সময় দেখা যায়, কেউ কারো সঙ্গে দেখা সাক্ষাত শেষে ফেরার সময় আল্লাহ হাফেজ বলে থাকেন। এ বিষয়ে আলেমরা বলেন, কোথাও কারো সঙ্গে দেখা করতে গেলে অথবা সাক্ষাত শেষে বিদায় নেওয়ার সময় সালাম দেওয়াই সুন্নত। হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী সালাম বলেই বিদায় নেওয়া সুন্নত। সালামের বিকল্প হিসেবে ‘আল্লাহ হাফেজ’ বলা সুন্নত নয়। কারণ এক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

‘যখন তোমাদের কেউ কোনো মজলিসে পৌঁছাবে তখন সালাম দেবে। যদি অনুমতি পাওয়া যায় তবে বসে পড়বে। এরপর যখন মজলিস ত্যাগ করবে, তখনো সালাম দেবে। কারণ, প্রথম সালাম দ্বিতীয় সালাম অপেক্ষা অধিক গুরুত্বপূর্ণ নয় (বরং উভয় সালামের গুরুত্ব সমান)।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস, ২/১০০)

তবে সালামের আগে বা পরে ‘আল্লাহ হাফেজ’ (আল্লাহ তোমাকে নিরাপদ রাখুন) বাক্যটি দোয়া হিসেবে বলা জায়েজ আছে। তাতে কোনো সমস্যা নেই। (শুআবুল ঈমান : ৬/৪৪৮; সুনানে আবু দাউদ : ১৩/৭০৭; ইমদাদুল ফাতাওয়া : ৪/৪৯১)

এ জাতীয় আরো সংবাদ

যে পাঁচ দিন রোজা রাখা নিষেধ

নূর নিউজ

জুতার ওপর দাঁড়িয়ে জানাজা নামাজ পড়া যাবে?

নূর নিউজ

যেভাবে নামাজ পড়লে ২৫ গুণ বেশি সওয়াব হয়

নূর নিউজ