বিদ্যুতের দাম গ্রাহক পর্যায়ে বাড়ানোর প্রস্তাব

পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর খবরে বিতরণ কোম্পানিগুলোও গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে এই খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি)।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত তিনটি কোম্পানি এ প্রস্তাব জমা দেয় বলে বিইআরসির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

গত সোমবার পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম ১৯.৯২ শতাংশ বাড়িয়েছে বিইআরসি। দাম ঘোষণার দিনই গ্রাহক পর্যায়ে বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো)।

গত বুধবার গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব জমা দিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। গড়ে ১৯.৪৪ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া আরেকটি বিতরণ প্রতিষ্ঠান গতকাল বিইআরসিতে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব জমা দিয়েছে বলে বিইআরসি সূত্রে জানা গেছে। ছয়টি বিতরণ কোম্পানির মধ্যে বাকি তিনটিও খুব দ্রুত প্রস্তাব জমা দেবে বলে বিতরণ প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে।

গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়ে ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘পাইকারিতে যে হারে দাম বেড়েছে, সেই হারেই খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বিইআরসিতে জমা দিয়েছি আমরা। ’

বিইআরসি সূত্রে জানা গেছে, সব বিতরণ কোম্পানি প্রস্তাব দেওয়ার পর তাদের প্রস্তাবে সব তথ্য ও সংযুক্ত প্রমাণাদি ঠিক থাকলে তা আমলে নেবে কমিশন। এরপর একটি কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি প্রতিবেদন তৈরির পর সব পক্ষকে নিয়ে গণশুনানি হবে। এরপর গণশুনানি-পরবর্তী কোনো ব্যাখ্যা বা জবাব নেওয়া হতে পারে। এরপর আদেশ ঘোষণা করবে কমিশন। এতে অন্তত এক থেকে দেড় মাস সময় লাগতে পারে।

দেশে বিদ্যুতের একক পাইকারি বিক্রেতা বিপিডিবি। তাদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনে গ্রাহক বা খুচরা পর্যায়ে বিতরণ করছে দেশের পাঁচটি কোম্পানি। এগুলো হলো ডিপিডিসি, ডেসকো, আরইবি, নেসকো ও ওজোপাডিকো। বিপিডিবিও পাইকারি বিদ্যুৎ বিক্রির পাশাপাশি দেশের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।

গত সোমবার পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট পাঁচ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বেড়ে ছয় টাকা ২০ পয়সা হয়েছে, যা আগামী ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দেশে গত ১২ বছরে ৯ বার বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। এ সময়ে পাইকারি পর্যায়ে ১১৮ শতাংশ (নতুন মূল্যবৃদ্ধি ছাড়াই) এবং গ্রাহক পর্যায়ে ৯০ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দাম বাড়ানো হয়। ওই সময় সরকারি ভর্তুকি তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা ধরে পাইকারি পর্যায়ে ৮.৩৯ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়। একই সময়ে খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয় ৫.৩ শতাংশ।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

সাংবাদিককে গালাগাল করা সেই ইউএনওকে ওএসডির নির্দেশ

নূর নিউজ

৩০ নভেম্বরের পর হজের নিবন্ধন আর বাড়বে না : ধর্ম উপদেষ্টা

নূর নিউজ

‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাসের মান

নূর নিউজ