ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা কি আদৌ কার্যকর হবে?

আহমাদ জামিল

অতিথি লেখক

বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের পর ভারতকে নিয়ে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলগুলোর এক ধরনের পাল্টাপাল্টি অবস্থান দৃশ্যমান হয়েছে। বিএনপিবিহীন ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ঘিরে ভারত সরকারের নীতি ক্ষমতাসীনদের প্রশংসা কুড়িয়েছে আর বিরোধীদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে। রাজনীতির মাঠে বিরোধী দলগুলোর সভা সমাবেশে ভারত বিরোধী একটা অবস্থান এখন প্রকাশ্যে আসছে।

জাতীয় নির্বাচনের পর বাংলাদেশে মাঠের রাজনীতিতে ভারত বিরোধিতার বিষয়টি যেমন দৃশ্যমান হচ্ছে তেমনি সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমেও ভারতীয় পণ্য বর্জনের ক্যাম্পেইন নিয়ে পাল্টাপাল্টি তর্ক বিতর্ক এবং সমালোচনা জোরালো হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভারতীয় পণ্য বয়কটের বিষয়টি সামনে এনে রীতিমতো আন্দোলন গড়ে তুলতে চাইছেন কেউ কেউ। তাদের অভিযোগ- বাংলাদেশের সর্বশেষ নির্বাচনেও ভারত একটি দলকে সমর্থন দিয়েছে। এ জন্য ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

কিন্তু প্রশ্ন হলো- ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর কি শুধু ভারতই নতুন সরকারকে সমর্থন দিয়েছে; বিশ্বের অন্যান্য দেশ সমর্থন দেয়নি- বিষয়টি কি এমন?যদি এমন হয় তাহলে তো অবশ্যই ভারতীয় পণ্য বর্জনের মাধ্যমে একটি চাপ সৃষ্টি করা যাবে। কিন্তু যদি এমন না হয়- তাহলে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোনো ধরণের মৌলিক আন্দোলন ছাড়া শুধু পণ্য বর্জন- তাও সুনির্দিষ্ট কোনো দলের পক্ষ থেকে না- কতুটুকু আমাদের উপকার বা অপকার করবে তা বিবেচনার দাবি রাখে।

শুধু ভৌগোলিক নৈকট্যই নয়, একই আর্থ-সামাজিক পটভূমি, সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং অভিন্ন সংস্কৃতির কারণেই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি অনন্য সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে রক্তদানের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে যে সম্পর্ক গড়ে ওঠেছে তা ইতিহাসে বিরল। স্বাধীনতার পর থেকে কিছু কিছু বৈরী ইস্যু ছাড়া উভয় দেশ রাজনীতি, সংস্কৃতি, বাণিজ্য এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে একটি দীর্ঘ এবং কার্যকর কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। ভারতের ‘নেবারহুড ফার্স্ট’ নীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু এর বিপরীত চিত্রও আছে। ভারত ও বাংলাদেশ – এই দুই দেশের সরকার তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে যতই ‘সোনালি অধ্যায়’ বলে বর্ণনা করুক, দুই দেশেই একটা বিরাট সংখ্যক মানুষ যে তাদের প্রতিবেশী দেশ সম্পর্কে খুব উচ্চ ধারণা পোষণ করেন না এ কথা গোপন নয়।

বিশেষত আজকের যুগে সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই সেটা দিনের মতো স্পষ্ট – বাংলাদেশি ও ভারতীয়দের পারস্পরিক বাকবিতন্ডা সেখানে নিত্যদিনের ঘটনা। প্রায়শই যেটা গালিগালাজের পর্যায়েও পৌঁছায়।

সম্প্রতি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের পরাজয়ের পর যেভাবে বাংলাদেশি সমর্থকদের একাংশ প্রকাশ্যেই আনন্দোল্লাস প্রকাশ করেছেন এবং ভারতীয়রাও অনেকেই তাদের ‘অকৃতজ্ঞ’ বলে পাল্টা গালমন্দ করেছেন, তা থেকেও বোঝা যায় এই মানসিকতাটা উভয় দেশের জাতীয় জীবনের অনেক গভীরেই শিকড় বিছিয়েছে।

ইস্যুটা হয়তো ঘন ঘন পাল্টে যায় – কখনো সেটা ক্রিকেট, কখনো বা রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ – কখনো আবার তিস্তার জল, পেঁয়াজ কিংবা সীমান্তে বিএসএফের গুলি – কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে ক্ষোভের ঢেউ কিন্তু থেমে থাকে না। ভারতেও তার প্রতিক্রিয়া হয় যথারীতি।

বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন সম্প্রতি এ বিষয়ে বিবিসি বাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক দরকার, এ কথা অবশ্য তিনিও মানেন।

সেই সঙ্গেই স্বীকার করেন, অতীতে দুই দেশের তরফেই বেশ কিছু ‘ভুলচুক’ অবশ্যই হয়েছে – যার জন্য সীমান্তের দু’পারের মানুষের মধ্যেও সম্পর্ক কিছুটা বিষিয়ে গেছে।

তবে ভারতকে সমর্থনের প্রশ্নে বাংলাদেশে যে একটা বিভক্তি বরাবরই ছিল, তা স্বীকার করতেও তৌহিদ হোসেনের দ্বিধা নেই।

তিনি বলেন, এটা কিন্তু নতুন কিছু নয়। ’৭৪ সালে যখন আমরা ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্র, তখনও দেখতাম ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ হলে এস এম হল দু’ভাগ হয়ে যেত – একদল ভারতকে সমর্থন করলেও অন্যরা কিন্তু পাকিস্তানের জন্যই গলা ফাটাত। তখন তো আর ফেসবুক নেই, বাংলাদেশের ক্রিকেট দলও নেই – কিন্তু তখনও এখানে ভারত, পাকিস্তান দু’দলেরই গোঁড়া সাপোর্টার ছিল।

কিন্তু বাংলাদেশের ভারত-বিরোধী সমালোচনাকে দিল্লি কী চোখে দেখে বলে তার পর্যবেক্ষণ?

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সরাসরি জবাব দেন, ভারতের সরকারের ভূমিকা নিয়ে বাংলাদেশে মানুষের মাঝে ক্ষোভ আছে, তার কারণগুলোও চিহ্নিত করা কঠিন নয়। আর ভারত সেটা জানে না, এ কথাও আমি বিশ্বাস করি না।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত? এ বিষয়ে প্রথমে আমাদের উভয়ের স্বার্থ ও সামর্থ বিবেচনায় নিতে হবে। শুধুমাত্র অন্ধ সমর্থন বা অন্ধবিদ্বেশ দুটিই বাড়াবাড়ি। এ দুই প্রান্তিকতার বিপরীতে একটি সুন্দর ও সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতিতে আমাদের চলতে হবে।

৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পরপর দেশ ও দেশের বাইরে থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হ্যাশট্যাগ ‘ইন্ডিয়াআউট’ এই প্রচারণায় সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই যোগ দেন। বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এসব প্রচারণা ভারতেও অনেকের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। বাংলাদেশের এসব প্রচারণার বিরুদ্ধে ভারতের অনেকে ইউটিউবে পাল্টা জবাব দিচ্ছেন।

কিন্তু কথা হলো- কয়েকজন আদর্শহীন ইউটিউবারের চমকপ্রদ কথা শুনে শুধু ভারতীয় পণ্য বর্জন কি আদৌ তাদের উপর কোনো চাপ সৃষ্টি করবে না উল্টো আমাদের বিপদ বাড়াবে- সেটিও ভাবনার বিষয়।

এই যে কদিন আগে ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার পর, হঠাৎ করে দেশে পেঁয়াজের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যায়। বাংলাদেশে বাৎসরিক পেঁয়াজের চাহিদার ৪০ শতাংশ আমদানি করতে হয়, যার ৯৫ শতাংশ আসে ভারত থেকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়র অর্থনীতির অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশার মতে, ঐতিহাসিকভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, ভারতের পেঁয়াজের গুণগত মান এবং দাম বিবেচনা করলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা বাংলাদেশের জন্য লাভজনক।

ভারত থেকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পণ্য আমদানি হয়। দেশটি থেকে যেসব খাদ্য-পণ্য আমদানি হয় দেশে তার মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, সূর্যমুখী ও সয়াবিন তেলসহ ভোজ্য-তেল, চিনি, মধু, কোমল পানীয়, চিপস, বিস্কুট, চকলেট ও ক্যান্ডি জাতীয় খাবার। চীনের পর ভারত থেকেই বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করে।

বাংলাদেশের মোট সীমান্তের ৫৪৫৬ কিলোমিটার ভারতের সাথে। এর মধ্যে স্থল সীমানা ৪১৫৬ কিলোমিটার এবং সমুদ্র সীমানা ১৩০০ কিলোমিটার। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই বাণিজ্যের বেশিরভাগই ভারতের মাধ্যমে হয়। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হল সড়ক, রেল ও নৌপথ।

এই যোগাযোগ ব্যবস্থাগুলিও ভারতের উপর নির্ভরশীল। গত এক যুগ তা তারও অধিক সময় জুড়ে বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যের জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীল।

১৮ ফেব্রুয়ারি আসন্ন রমজানের আগে ভারত থেকে এক লাখ টন পরিশোধিত চিনি ও ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আনার চেষ্টার কথা জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। মূলত রমজানে দেশের বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এ চেষ্টা করছে সরকার। এমন প্রেক্ষাপটে যদি ভারতীয় সব পণ্য বর্জন করা হয়- তাহলে আমাদের দেশের বাজার পরিস্থিতি কেমন দাঁড়াবে?

সরকারি-বেসরকারি তথ্য বলছে, বাংলাদেশের খাদ্যনিরাপত্তা এখন অনেকটাই ভারতের ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছর ভারত থেকে ৩৪১ কোটি টাকার কিছু বেশি মূল্যের চাল আমদানি হয়েছিল দেশে। সেখান থেকে প্রায় ২৪ গুণ বেড়ে গত অর্থবছরে খাদ্যশস্য আমদানি হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৫৪১ কোটি ৭০ লাখ টাকার। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেও এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেই চাল আমদানিতে রেকর্ড পরিমাণ এলসি খোলার বিষয়টি এরই মধ্যে আলোচনায়ও এসেছে।

শুধু চাল নয়, একই চিত্র দেখা যাচ্ছে গমের ক্ষেত্রেও। বাংলাদেশ এখন ভারতে উৎপাদিত গমের শীর্ষ গন্তব্য হয়ে উঠেছে। ভারতীয় বাণিজ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের (ভারতে অর্থবছরের হিসাবায়ন হয় এপ্রিল-মার্চ সময়সীমায়) প্রথম নয় মাসে (এপ্রিল-ডিসেম্বর) দেশটি থেকে গম রফতানি হয়েছে ১৪৩ কোটি ২৮ লাখ ডলারের। এর মধ্যে ৮৪ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের গম এসেছে বাংলাদেশে। সে হিসেবে এ নয় মাসে ভারতের মোট গম রফতানির ৫৮ শতাংশেরও বেশি এসেছে বাংলাদেশে।

দ্য বিজনেস ষ্টান্ডার্ড-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া মেডিকেল ট্যুরিস্টদের ৫৪ শতাংশই ছিল বাংলাদেশি। উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থার পাশাপাশি বাংলাদেশিদের চিকিৎসা সেবার জন্য ভারতের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে খাবার, ভাষা, সাশ্রয়ী চিকিৎসাসেবা এবং সাংস্কৃতিক সাদৃশ্য অন্যতম প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে।

‘কি রিজনস ফর মেডিক্যাল ট্রাভেল ফ্রম বাংলাদেশ টু ইন্ডিয়া শীর্ষক এক গবেষণার তথ্যে দেখা গেছে, ভারতে মেডিক্যাল ট্যুরিজমের ৫৫ শতাংশই বাংলাদেশি। গত তিন বছরে মেডিক্যাল ট্যুরিজমে যাওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৮৩ শতাংশ। চিকিৎসা নিতে যাওয়া বাংলাদেশিরা মূলত ভারতের কলকাতা, নয়াদিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও মুম্বাই শহরে বেশি যাচ্ছে।

এমন প্রেক্ষাপটে বিকল্প কোনো বাজার তৈরি না করে শুধু ভারতীয় কিছু পণ্য বর্জন করার যে ডাক দেওয়া হচ্ছে- তা যে কোনো সুচিন্তিত বা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছাড়া- সেটি এমনিতেই বুঝা যায়।

সবচেয়ে ভালো হয়- যদি আমরা নিজেরা স্বাবলম্বী হতে পারি। রাষ্ট্রীয় সংস্থার খাদ্যশস্যের সাফল্য এখনো বাংলাদেশের খাদ্যনিরাপত্তাকে নিশ্চিত করতে পারেনি। এটি অত্যন্ত লজ্জার কথা। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও আমাদের খাদ্য, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অন্যদের সহযোগিতা নিতে হয়। যতদিন আমরা নিজেদের পায়ে না দাঁড়াবো-ততদিন অন্যদের কাছে হাত পাততে হবে।

মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয় পণ্য বর্জনের যারা প্রচারণা চালাচ্ছেন- তারা নিজেদের দেওয়া বিভিন্ন অপতথ্য থেকে জনগণের দৃষ্টি ফেরাতে চায়। এতদিন তারা বিভিন্ন ভুল তথ্য দিয়ে জনগণকে সরকার পতনের স্বপ্ন দেখিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের হস্তক্ষেপে সরকার পতনের নানাগল্প তারা জনগণকে শোনাতো। কিন্তু নির্বাচনী তরী পার হওয়ার পর এখন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সরকারকে স্বাগত জানিয়ে সহযোগিতার কথা বলছে। মাঝে বিপদে পড়ল বেচারা ইউটিউবাররা। এ জন্য তারা এখন নতুন দিকে দৃষ্টি ঘোরাতে এ প্রচারণায় নেমেছে।

পণ্য বর্জনের আন্দোলন হলে তো তাদের দেওয়া তথ্যমতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের পণ্য বর্জন করা উচিত। কারণ তারা বলেছিল- অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে তারা নিষেধাজ্ঞাসহ নানান পদক্ষেপ নিবে। কিন্তু বাস্তবে এমন কিছুই তারা করেনি। উল্টো সরকারকে সবধরণের সহায়তা করছে।

মূলত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসায়িকসহ যেসব সম্পর্ক- সেগুলো কোনো অনুকম্পা বা দান নয়। স্বাধীন দেশ হিসেবে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে আমরা তাদের বিভিন্ন পণ্য কেনাবেচা করি। যার মাধ্যমে আমাদের ঘাটতিগুলো পূরণ করা হয়। নিজস্ব শক্তিতে বলিয়ান ও সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক কর্মসূচি ছাড়া শুধু চিপস-সাবান এমন কয়েকটি পণ্য বয়কট করে বাংলাদেশে ভারতের কোনো প্রভাব তো কমবেই না, উল্টো হিতে বিপরীতও হতে পারে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

যেভাবে রাষ্ট্রপতি হন সাহাবুদ্দীন আহমদ

নূর নিউজ

বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ

নূর নিউজ

কাল কুবল’ পুরষ্কারে ভূষিত হওয়ায় ড. ইউনূসকে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অভিনন্দন 

নূর নিউজ