সারাদিনে একবারও চা খান না, এমন মানুষ খুব কমই আছেন। ক্লান্তি কাটাতে চায়ের তুলনা নেই। কেউ কেউ আবার একঘেয়েমি কাটাতে বার বার চা খান। এমনও অনেকে আছেন যারা সারাদিনে অন্তত ৮-১০ কাপ চা খান। কিন্তু অনেকেরই হয়তো জানা নেই , মাত্রাতিরিক্ত চা খাওয়ার অভ্যাস ডেকে আনতে পারে মারাত্মক বিপদ।
চিকিৎসকরা বলছেন, ঘন ঘন চা খাওয়ার প্রবণতা নানা রকম শারীরিক সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়া এক কাপ চায়ে সাধারণত ২০ থেকে ৬০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন থাকে যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য, হৃদরোগ এমনকি প্রস্টেট ক্যান্সার বা মূত্রথলির ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে ।
মাত্রাতিরিক্ত চা খাওয়ার অভ্যাস আরও যেসব রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে-
অনিদ্রার সমস্যা: চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাফেইন যেমন উদ্দীপনা বাড়ায় তেমনি অতিরিক্ত পরিসাণে চা খেয়ে এই উপাদান শরীরে অস্থিরতা, উদ্বেগ তৈরি করে। ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
অ্যালার্জির সমস্যা: যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, ঘন ঘন চা খেলে ত্বকে এগজ়িমা, ডার্মাটাইটিসের মতো সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। ফলে ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, ঘন ঘন র্যাশ বেরোনোর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারও কারও ব্রণের সমস্যাও বেড়ে যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা: চায়ে থিওফাইলিন নামের এক ধরনের রাসায়নিক থাকে যা স্বাভাবিক পরিপাক প্রক্রিয়ায় বাধার সৃষ্টি করে। এ কারণে অতিরিক্ত মাত্রায় চা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যায়।
ত্বকের ক্যানসার: গবেষণায় দেখা গেছে ,ত্বকের ক্যানসারের অন্যতম কারণ ঘন ঘন দুধ-চা খাওয়ার অভ্যাস। এই পানীয় খেলেই যে ক্যানসার হবে এমন কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা মেলেনি। তবে ঘন ঘন দুধ চা ত্বকের ক্যানসারের ক্ষেত্রে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে।
প্রস্টেট ক্যান্সার বা মূত্রথলির ক্যান্সার: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত মাত্রায় চা খেলে পুরুষদের প্রস্টেট ক্যান্সার বা মূত্রথলির ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।