যুক্তরাষ্ট্রে এপ্রিলে চাকরি হয়েছে ৪ লাখ ২৮ হাজার জনের

এপ্রিলে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো ৪ লাখ ২৮ হাজার নতুন কর্মী নিয়োগ করেছে। যদিও দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার ৪০ বছরের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতেই রেকর্ডসংখ্যক নতুন কর্মসংস্থান যুক্ত হয়েছে। খবর এপি।

যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগের তথ্য বলছে, গত মাসে দেশটিতে বেকারত্বের হার ছিল ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। এটি গত ৫০ বছরের মধ্যে দেশটির ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন বেকারত্বের হার। গত মাসে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এপ্রিলে কর্মসংস্থান যোগ হওয়ার পাশাপাশি বেতনের স্থির বৃদ্ধির ফলে ভোক্তা ব্যয় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণ করতে সুদের হার আরো বাড়াতে বাধ্য হবে ফেডারেল রিজার্ভকে। এদিকে ঋণের ওপর সুদের হার বাড়লে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর লোকসানে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে ক্যাপিটাল ইকোনমিস্টের প্রধান অর্থনীতিবিদ পল অ্যাশওর্থ বলেন, শ্রমবাজার পরিস্থিতি এখন বেশ ভালো আছে। কর্মীদের বেতনও বাড়ছে। ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা ত্যাগ করার বিষয়ে আমরা সন্দিহান।

এদিকে সর্বশেষ কর্মসংস্থান তথ্যে চাকরির বাজার সম্পর্কে কিছু সতর্কতাও উল্লেখ করা ছিল। এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমশক্তি কমে ৩ লাখ ৬৩ হাজারে নেমে এসেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরের পর প্রথমবারের মতো শ্রমশক্তি কমেছে দেশটিতে। ফলে মার্কিন চাকরিজীবী ও চাকরি সন্ধানীর হার ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে কমে ৬২ দশমিক ২ শতাংশে নেমে এসেছে। শ্রমবাজারের সংকট মোকাবেলা করতে কর্মীদের বেতন বাড়িয়ে চলেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। চলতি বছরের এপ্রিলে মার্চের তুলনায় ঘণ্টাপ্রতি বেতনের হার দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। এক বছরে বেতন বৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। যদিও বেতনের তুলনায় বেশি বাড়ছে দেশের পণ্য মূল্য।

গত মাসজুড়ে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোয় ব্যাপক হারে কর্মী নিয়োগ করা হয়। কারখানাগুলো ৫৫ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। গত বছরের জুলাইয়ের পর সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান যোগ হয় গত মাসে। এছাড়া গুদাম ও পরিবহন প্রতিষ্ঠানগুলো ৫২ হাজার, রেস্তোরাঁ ও বার ৪৪ হাজার, স্বাস্থ্যসেবা খাতে ৪৪ হাজার, অর্থায়ন খাতে ৩৫ হাজার, খুচরা ব্যবসা ২৯ হাজার এবং হোটেলে ২২ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তবে কর্মী সংকটে ভুগছিল নির্মাণ সংস্থাগুলো। গত মাসে ওই সংস্থাগুলো মাত্র দুই হাজার নতুন কর্মী যুক্ত করতে পেরেছে।

সম্প্রতি দশমিক ৫ শতাংশ সুদের হার বাড়িয়েছে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে আরো কয়েক দফায় সুদের হার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ফেডারেল রিজার্ভ। এর প্রভাব পড়বে কর্মী নিয়োগদানের ওপর। বাড়বে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ব্যয়ও।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

পুলিশের হাত থেকে পালাতে উড়ালসেতু থেকে লাফ

নূর নিউজ

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করবে: পিটার হাস

নূর নিউজ

মেক্সিকোতে শক্তিশালী ভূমিকম্প, একজন নিহত

নূর নিউজ