ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রাম একটি সৌন্দর্য। এর মাধ্যমে একটি সমাজ রাজনৈতিক হয়ে ওঠে। কিন্তু বাংলাদেশে সেই পরিবেশ পাওয়া যায় না বরং যে কোন আন্দোলন সংগ্রামকে রাষ্ট্র বিরোধী বা সরকার বিরোধী চক্রান্ত আকারে উপস্থাপন করা হয়। এবং যে কোন আন্দোলন সংগ্রামকে হামলা-মামলা গুলি করে হত্যা করে দমন করা হয়। যা কোন সভ্য দেশের জন্য একটি কলঙ্কজনক বিষয়।
আজ শনিবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মজলিসে আমেলার এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কাদের, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, সহকারি সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারূফ, মাওলানা খলিলুর রহমান, বরকতউল্লাহ লতিফ, জিএম রুহুল আমীন, উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা শোয়াইব হোসেন, হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতী হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, মাওলানা নুরুল ইসলাম আলআমিন, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, এডভোকেট লুৎফুর রহমান শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম প্রমুখ।
তিনি বলেন, দুঃখের বিষয় এই সরকার গত একদশকে দেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবেশকে আক্ষরিক অর্থেই হত্যা করেছে। সাম্প্র্রতিক বিরোধী দলের আন্দোলন সংগ্রামে গুলি করে হত্যা করার হিংস্রতা ক্রমেই বাড়ছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এই হিংস্র রাজনৈতিক চর্চার তীব্র নিন্দা জানায় এবং সকল রাজনৈতিক আয়োজন বাঁধামুক্ত ও নিরাপদ রাখার আহ্বান জানায়। অন্যথায় জনরোষের বিস্ফোরণ ঘটলে সরকারের জন্য সুখকর হবে না।
সভায় বিদ্যুতের ২০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহারের করার দাবি জানানো হয়। নিত্যপণ্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সরকার বাজার সিন্ডিকেটের কাছে মাথানত করেছে। সভায় আরো বলা হয়, বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় বাণিজ্যমন্ত্রী কোনভাবেই এড়াতে পারবে না।