যে পাঁচ ঘটনার কারণে গুরুত্ব বেড়ে যায় রজব মাসের

ইসলামী বর্ষপঞ্জিতে পবিত্র হিসেবে বিবেচিত চারটি মাসের মধ্যে একটি মাস রজব। এই মাসের পরবর্তী এক মাস (শাবান) পরই আগমন ঘটে সংযমের মাস রমজানের।

কুরআনে আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয় আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাস বারোটি, আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। তন্মধ্যে চারটি সম্মানিত। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান; সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না।” (সূরা তাওবা, আয়াত: ৩৬)

হযরত আনাস রা. এর সূত্রে একটি হাদীসের বর্ণনায় পাওয়া যায়, যখনই রাসূল সা. রজব মাসের চাঁদ দেখতেন. তখন তিনি দোয়া করতেন,

“اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَب وَشَعْبَانَ، وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ”
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমাদের রজব ও শাবান মাসে বরকত দান কর এবং রমজান মাস পর্যন্ত পৌছার তৌফিক দাও। (বায়হাকি, আত-তাবারী)

 

এখানে রজব মাসে সংগঠিত পাঁচটি ঐতিহাসিক ঘটনার উল্লেখ করা হল।

১. রাসুল সা. এর মিরাজ যাত্রা

মদীনায় হিযরতের কিছু দিন পূর্বে নবুওয়াতের দ্বাদশ বা ত্রয়োদশ বর্ষে ২৭ শে রজব রাতে রাসূল সা. আল্লাহর ব্যবস্থাপনায় হযরত জীবরাইল আ. এর সাথে মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে জেরুসালেমের মসজিদুল আকসায় গমন করেন।

সেখান থেকে মিরাজে আরোহণ করেন। সেখানে বিভিন্ন নিদর্শন প্রত্যক্ষণ করে আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের পর তিনি আবার দুনিয়াতে ফিরে আসেন। রাসূল সা. এর উর্ধ্বাকাশে আরোহণের এই যাত্রাটি মিরাজের যাত্রা হিসেবে ইতিহাসে পরিচিত।

২. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ

মিরাজের যাত্রার রাতেই আল্লাহর সাথে সাক্ষাতে আল্লাহ রাসূল সা. কে দিনে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের বিধান দান করেন। মিরাজের যাত্রার পর থেকেই মুসলমানদের উপর আবশ্যিক বিধান হিসেবে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ আরোপ করা হয়।

৩. তাবুকের যুদ্ধ

হিজরী ৯ সালের রজব তথা ঈসায়ী ৬৩০ এর অক্টোবরে রাসূল সা. তার জীবনের সর্বশেষ যুদ্ধ তাবুক অভিযান পরিচালনা করেন। সমগ্র আরবে ইসলামের প্রতিষ্ঠার পর রোমক সম্রাট শংকিত হয়ে আরব অভিযানের প্রস্তুতি নিলে রাসূল সা. তাকে বাধা দেওয়ার জন্য তাবুক গমন করেন। রাসূল সা. এর প্রতিরোধ অভিযানে ভীত হয়ে পরবর্তীতে রোমক সম্রাট তার অভিযান পরিচালনা স্থগিত রাখে।

৪. সুলতান সালাহউদ্দীন আইউবীর জেরুসালেম বিজয়

দীর্ঘ ৮৮ বছর ক্রুসেডারদের অধীন থাকার পর ঈসায়ী ১১৮৭ সালের ২রা অক্টোবর মোতাবেক ২৭শে রজব, ৫৮৩ হিজরী সুলতান সালাহউদ্দীন আল-আইউবী জেরুসালেম বিজয় করে ক্রুসেডারদের কবল থেকে বাইতুল মুকাদ্দাসকে উদ্ধার করেন।

৫. খেলাফতের পতন

ঈসায়ী ১৯২৪ সালের ৩রা মার্চ তথা ১৩৪২ হিজরীর ২৮শে রজব মুসলিম বিশ্বের সর্বশেষ খেলাফত ওসমানী খেলাফতের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়। তুর্কি রাষ্ট্রনায়ক মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক শেষ ওসমানী খলীফা দ্বিতীয় আবদুল মজিদকে পদচ্যুত করে তাকে নির্বাসনে পাঠান এবং তুরস্ককে প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করেন।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

জিলহজ্জ অত্যন্ত সম্মানীত একটি মাস: আল্লামা রাব্বানী

নূর নিউজ

তাবলিগে নিয়মিত পড়া হয় যে ৩ বই

নূর নিউজ

স্ত্রীর কবরের পাশে ১৬ বছর ধরে কোরআন তিলাওয়াত করছেন স্বামী

নূর নিউজ