যে প্রক্রিয়ায় সহজেই ভ্যাকসিন নিতে পারবেন কওমি মাদরাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্টাফগণ

সারাদেশের কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশের কওমি মাদরাসারগুলোর সর্বোচ্চ শিক্ষা অথরিটি আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কাওমিয়া বাংলাদেশ।

জানা যায়, ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রেখে শিক্ষার সুশৃংখল পরিবেশ বজায় রাখতে প্রত্যেক জেলার সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে এই টিকা প্রদান কার্যক্রম সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেয় বোর্ডটি।

এদিকে, এই কার্যক্রমের অধীনে সারাদেশে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী ৬ বিভাগে ১৭৪টি মাদরাসাকে প্রাথমিকভাবে টিকা সেন্টার হিসাবে নির্বাচন করা হয়।

কিন্তু ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও স্টাফরা কীভাবে করোনা ভ্যাকসিন নেবেন সে বিষয়ে এবার বিস্তারিত জানালো হাইয়াতুল উলিয়া।

এক প্রজ্ঞাপনে বোর্ডটি জানায়, আল-হাইআতুল উলয়ার অধীন ৬ বোর্ডের প্রতিনিধিদলের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ৩০ জানুয়ারি ২০২২, রোজ রবিবার এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কওমি মাদরাসার ১২ থেকে ১৭ বছর এবং ১৮ ও তদুর্ধ্ব বয়সের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও স্টাফদের কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন (টিকা) প্রদানের যে প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়, সভায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

(ক) বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণের যে নিয়ম রয়েছে, অধিকাংশ মাদরাসায় তার সুব্যবস্থা না থাকায় আল-হাইআতুল উলয়ার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে টিকা সেন্টার হিসাবে যে সব মাদরাসার নাম ঘোষণা করা হয়েছিল, তার সবগুলো বহাল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। যে সব সেন্টার বহাল আছে, সেগুলোর তালিকা দেখুন এখানে।

(খ) গত ২৬ জানুয়ারি ২০২২, বুধবার কওমি মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও স্টাফদের পৃথক বুথে টিকা প্রদানের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সারাদেশের সকল সরকারি টিকা সেন্টার, মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিভিল সার্জনের অফিসকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনাটি দেখুন এখানে।

(গ) সম্পূর্ণ পর্দা রক্ষা করে মেয়েদেরকে টিকা দিবেন মহিলাগণ, ছেলেদেরকে টিকা দিবেন পুরুষগণ।
টিকা প্রদানের জন্য দেশের সকল কওমি মাদরাসাকে নিম্নবর্ণিত নিয়ম অনুসরণ করতে হবে :

১. প্রত্যেক মাদরাসাকে স্থানীয় সরকারী টিকা সেন্টার (মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল/জেলা সদর হাসপাতাল/সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা/ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স/উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস অথবা সিভিল সার্জনের অফিস) এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে; এবং

২. নিচের লিংক থেকে ফরমটি ডাউনলোড করে কম্পিউটারে ১২ থেকে ১৭ বছর এবং ১৮ ও তদুর্ধ্ব বয়সের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও স্টাফদের তালিকা করতে হবে (ফরমের সকল ঘর কম্পিউটারে এক্সেল ফরম্যাটে সঠিক নিয়মে পূরণ করতে হবে) এবং এ তালিকার একটি কপি স্থানীয় টিকা সেন্টারে প্রদান করতে হবে। তালিকা ফরম ডাউনলোড করুন এখান থেকে।

৩. নিচের লিংক থেকে টিকা কার্ড ডাউনলোড, প্রিন্ট ও ফটোকপি করে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে ২ কপি প্রদান করতে হবে। টিকা কার্ডের নমুনা দেখুন এখানে।

৪. টিকা কার্ড (২ কপি) পূরণ করে নির্ধারিত স্থানে গেলেই টিকার ১ম ডোজ প্রদান করা হবে এবং ২য় ডোজের জন্য তারিখ লিখে দেওয়া হবে।

৫. লিখে দেওয়া তারিখে ২য় ডোজের জন্য টিকা কার্ড নিয়ে যাবে এবং ২য় ডোজ গ্রহণ করবে।

৬. ভবিষ্যতের জন্য টিকা কার্ডটি সংরক্ষণ করতে হবে। প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য ফটোকপি করে রাখবে।

উল্লেখ্য, যাদের জন্মসনদ বা জাতীয় পরিচয়পত্র আছে, তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে নিলে পরবর্তীতে তারা টিকার সনদ পাবে (অ্যাপ থেকে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে)। যাদের জন্মসনদ বা জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তাদের জন্য টিকা কার্ডটিই টিকার সনদ হিসাবে গণ্য হবে।

আওয়ার ইসলাম

এ জাতীয় আরো সংবাদ

বিএনপিতে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

আনসারুল হক

কুরআনুল কারিমের অর্থ ও মর্ম শেখার গুরুত্বপূর্ণ দুটি কিতাব

নূর নিউজ

ভাষা ও মাতৃভাষার বিশুদ্ধতা শরীয়তের কাম্য: মুফতী মুহাম্মদ ইসমাঈল

আলাউদ্দিন