সচিবসহ বিভিন্ন পদে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োজিত কর্মকর্তাদের পদ থেকে সরানো হচ্ছে। এসব কর্মকর্তারা পতন হওয়া আওয়ামী সরকার ঘরানা বলে পরিচিত। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চুক্তিতে নিয়োগ নিয়ে এমনিতেই কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তারা বলছেন, একজন কর্মকর্তা চাকরির মেয়াদ শেষে অবসরে গেলে সেই পদ খালি হয়। ওই পদে নতুন একজন কর্মকর্তার পদোন্নতি বা পদায়ন হয়। কিন্তু চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ফলে বঞ্চিত হন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনসহ জনপ্রশাসনে বর্তমানে ১৮ জন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে রয়েছেন।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। সচিবালয়ে অবস্থিত একটি মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়ার পর অনেকের স্বপ্ন থাকে এক দিন সচিব হবেন, বড় মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পাবেন। কিন্তু বছরের পর বছর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কারণে অনেকে সে স্বপ্ন পূরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি কাম্য নয়।
অপর কর্মকর্তা বলেন, চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ মানে একজন কর্মকর্তাকে বঞ্চিত করা। একটি পদ খালি হওয়ার পর আরেকজন কর্মকর্তা সেই পদে বসবেন, এটাই নিয়ম। কিন্তু চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগের কারণে ওই পদে আগের কর্মকর্তাই থেকে যাচ্ছেন। ফলে নতুন করে যার দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল তিনি কিন্তু বঞ্চিত হলেন। এক সময় দেখা গেল তার নিজেরই চাকরির মেয়াদ শেষ। ফলে মনে কষ্ট নিয়ে তাকে সরকারি চাকরি থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আরও একজন কর্মকর্তা জানান, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করার পর এ ধরনের সব নিয়োগের আদেশ একসঙ্গে বাতিল করা হবে।