তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির সাজা স্থগিত করেছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। সোমবার এ দুজনের সাজা স্থগিত করা হয়। তবে অন্যান্য মামলায় সাজার রায়ের কারণে আপাতত কারাগারেই থাকতে হচ্ছে ইমরান খানকে। এমনকি বুশরা বিবিকেও থাকতে হচ্ছে জেলে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন বলছে, তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ১৪ বছরের জেল হয়েছিল ইমরান খানের। সোমবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এই রায় স্থগিত করেন।
গত ৩১ জানুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসলামাবাদের একটি দুর্নীতিবিরোধী আদালত ইমরান ও বুশরা বিবিকে এই মামলায় সাজা দেন। রায়ে ইমরান ও বুশরাকে ১০ বছরের জন্য সরকারি দায়িত্ব পালনে নিষিদ্ধ এবং প্রত্যেককে ৭৮৭ মিলিয়ন রুপি জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর একদিন পর উভয়কে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায় দেওয়া হয় আইন অনুসারে বিয়ে না করার কারণে।
একাধিক মামলার রায়ে গত বছরের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খান।
তোশাখানা মানে সরকারি কোষাগার। পাকিস্তানে বিদেশি নেতাদের কাছ থেকে পাওয়া যে কোনো উপহার সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়। শুধু প্রধানমন্ত্রী নয়, সাংবিধানিক পদে বসা প্রত্যেক ব্যক্তির ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য।
কিন্তু অভিযোগ উঠেছে যে, ইমরান খান তাঁর প্রাপ্ত উপহার সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করেছেন। এ ঘটনায় যে মামলা হয়েছে, তাকে তোশাখানা মামলা বলা হচ্ছে।
পাকিস্তানে তোশাখানা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে।