বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। তার বক্তব্য প্রত্যাহার করা ছাড়া উপায় নেই।
রোববার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
এর আগে সরকার জানায়, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি ব্যক্তিদের অর্থ রাখার বিষয়ে তথ্য জানাতে তিন বার চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
দুইবার কোনো উত্তর না দিলেও একবার বলেছে তথ্য জানা নেই। সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মিথ্যা বলছেন।
তখন আদালত বলেন, রাষ্ট্রদূত কীভাবে বললেন বাংলাদেশিদের অর্থ জমার বিষয়ে কোনো তথ্য চাওয়া হয়নি তা আমাদের বোধগম্য নয়।
আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনারা যে তথ্য উপস্থাপন করেছেন তাতে প্রমাণিত রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য সাংঘর্ষিক।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সুইস ব্যাংকে অর্থ জমা নিয়ে বাংলাদেশ সরকার কোনো তথ্য কেন চায়নি তা জানতে চান হাইকোর্ট। রোববারের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলেরও নিদের্শ দেওয়া হয় দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে।
তারই পরিপেক্ষিতে আজ রোববার হাইকোর্টে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইজারল্যান্ডের (সুইস) বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশের ৬৭ জনের অর্থ জমা নিয়ে তথ্য চাওয়া হলেও বিপরীতে মাত্র একজনের তথ্য জানিয়েছে সুইজারল্যান্ডের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (এফআইইউ)। বাকি ৬৬ জনের সম্পর্কে তারা কিছুই জানায়নি।
তার আগে গত বুধবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ জমা নিয়ে কিছু জানতে চায়নি সরকার। তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী তথ্য চাইলে সহযোগিতা করবে সুইজারল্যান্ড।