কোনো যানবাহনে নয়, বরং হেঁটে হজে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বসনিয়ার এক মধ্যবয়সী। ইউরোপ থেকে যাত্রা করে এখন তিনি ইরাকের কিরকুকে পৌঁছেছেন। আগামী জুনের শেষদিনে অনুষ্ঠেয় হজের সময় তিনি পবিত্র মক্কায় উপস্থিত হতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন।
খবরে বলা হয়, জন্মসূত্রে বসনিয়ার নাগরিক হলেও এনভার বেগানোভিচ ২৮ বছর ধরে অস্ট্রিয়ায় বসবাস করছেন। এ বছর তিনি হজ পালনের ইচ্ছা করেন। সে জন্য ৫২ বছর বয়সী এনভার পদযাত্রাকেই বেছে নিয়েছেন। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে তিনি হাঁটছেন। এরইমধ্যে ১০টি দেশ অতিক্রম করেছেন এই জুডো ক্রীড়াবিদ।
এনভার বেগানোভিচ হজযাত্রার পথে যে সব দেশ অতিক্রম করেছেন, সে সব দেশের পতাকা বহন করছেন তার পিঠে। ফলে এখন তার পিঠে স্লোভাকিয়া, ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, সার্বিয়া, কসোভো, মেসিডোনিয়া, গ্রিস, তুরস্কসহ ১০টি দেশের পতাকা শোভা পাচ্ছে।
এনভার বলেন, পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে আমি হাঁটছি। হাজার কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছি। কিন্তু কোথাও আমি কোনো সমস্যার মুখে পড়িনি। বরং আমি বিভিন্ন দেশের লোকজনের কাছে আশাতীত সাহায্য ও সমর্থন পেয়েছি।
হেঁটে হজযাত্রার বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু তিনি একজন ক্রীড়াবিদ ছিলেন এবং দীর্ঘ পথ হাঁটতে অভ্যস্ত ছিলেন, তাই তিনি এভাবে হজে যাওয়ার পথ বেছে নিয়েছেন। হেঁটেই হজ সম্পন্ন করার মতো সৌভাগ্য অর্জন করতে চান। এ বছরের জুনের শেষের দিকে হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
নিজের বাবা-মায়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার মরহুম মা-বাবা আমাকে অসিয়ত করে গেছে, আমি যেন কখনোই ধর্ম থেকে বিচ্যুত না হই। আমি তাদের সে নির্দেশ মেনে চলার চেষ্টা করেছি। এখন আমি কয়েক মাস ধরে পবিত্র মক্কা-মদিনার ভূমিতে উপস্থিত হওয়ার জন্য হাঁটছি এবং কখনো ক্লান্ত হননি।
গত বছর ৫৩ বছর বয়সী ব্রিটিশ-ইরাকি প্রকৌশলী আদম মুহাম্মদও একই রকম যাত্রা করেছিলেন। তিনি যুক্তরাজ্যের উলভারহ্যাম্পটনে তার বাড়ি থেকে যাত্রা করে ১১ মাসে ১১টি দেশ অতিক্রম করে সৌদি পৌঁছেছিলেন। তিনি সাড়ে ছয় হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছিলেন। সূত্র: আনাদোলু