বেতন বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের কর্মীরা ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা করেছেন। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) এই কর্মসূচি পালন করবেন তারা। খবর দ্য গার্ডিয়ান’র।
খবরে বলা হয়েছে, ১৯৭০ সালের পর নিউইয়র্ক টাইমস এবারই প্রথম বড় আকারের কর্মবিরতির মুখোমুখি হচ্ছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, কোনো ঝামেলা ছাড়াই পাঠকদের জন্য পত্রিকা প্রকাশ করতে প্রস্তুত আছে নিউইয়র্ক টাইমস।
জীবনযাত্রার ব্যয়ের ঊর্ধ্বগতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমিক অসন্তোষ বেড়ে চলছে। ঠিক এমন সময় নিউইয়র্ক টাইমসের ইউনিয়নভুক্ত কর্মীরা এই কর্মবিরতির ঘোষণা দিলেন। সদস্যরা বলেন, গণমাধ্যম ব্যবসায় চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠান তাদের দাবি পূরণ করতে সক্ষম।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায় ১২ ঘণ্টা আলোচনা হয়। এতে প্রতিষ্ঠানটি বেতন বাড়ানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০২৩-২৪ সালে ৩ শতাংশ হারে নিশ্চিত বেতন বাড়বে। তবে পেনশন সুবিধার দাবি নাকচ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ইউনিয়নের দাবি ছিল, চাকরির শুরুর বেতন হতে হবে ৬৫ হাজার মার্কিন ডলার। আর ২০২৩-২৪ সালে কর্মীদের বেতন ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়াতে হবে। তবে নিউইয়র্ক টাইমস যে বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে, তা জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে গুগলের কাছ থেকে বিজ্ঞাপন বাবদ নিউইয়র্ক টাইমসের ডলার আয় কমে যায়। পরে প্রতিষ্ঠানটি গুগলের বিজ্ঞাপন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়ে পাঠকদের গ্রাহক (সাবস্ক্রিপশন) হওয়ার ওপর নির্ভর করতে থাকে। ২০২১ সালের মার্চে আগের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকেই বেতন, মজুরি বৃদ্ধি, অবসর গ্রহণ এবং স্বাস্থ্যসেবা নীতি ও হোম অফিসের মতো কাজ নিয়ে মালিক ও শ্রমিক পক্ষের মতবিরোধ শুরু হয়।