শরীর সুস্থ রাখতে আমরা অনেকেই হালকা নাস্তা হিসেবে কাজু বাদাম খেতে পছন্দ করি। কাজু বাদাম খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। এতে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো- ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ফাইটোকেমিক্যালস, ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড ইত্যাদি।
তবে এটা কি জানেন যে অতিরিক্ত পরিমাণে কাজু বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে কাজু খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
অতিরিক্ত পরিমাণে কাজু খেলে স্বাস্থ্যের কী কী ক্ষতি হতে পারে, সেই বিষয়েই আলোচনা করা হবে এই প্রতিবেদনে-
স্থূলতা বাড়ে
কাজুতে ক্যালরির পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে স্থূলতা, রক্তে শর্করার মাত্রায় সমস্যা হতে পারে। তাই ডায়াবেটিস ও থাইরয়েড রোগীদের কাজু বাদাম খাওয়া উচিত নয়। একইসঙ্গে আপনার যদি ইতিমধ্যেই স্থূলতার সমস্যা থেকে থাকে তাহলেও কাজু খাওয়া এড়িয়ে চলুন। কারণ মনে রাখবেন, স্থূলতা নিজে কোনও রোগ নয়। কিন্তু অনেক রোগকে দেহে আহ্বান করে।
কাজুবাদাম কেন খাবেন?
কিডনিতে পাথর
কাজুতে ভাল পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম থাকে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে কাজু খেলে কিডনিতে পাথরের সমস্যা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, কারও যদি ইতোমধ্যেই কিডনির সমস্যা থাকে, তাহলে কাজু খাওয়া এড়িয়ে চলাই উচিত। কারণ কাজু খেলে এই সমস্যা বাড়তে পারে।
ডিহাইড্রেশন হতে পারে
কাজুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। বেশি ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়ার পর জল কম পান করলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। এর প্রধান কারণ হল, ফাইবার সঠিকভাবে দ্রবীভূত করার জন্য জল প্রয়োজন। শরীরে ফাইবার বেশি থাকলে তা দেহে উপস্থিত জল শোষণ করে। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও শুরু হয়।
ফুসফুসের সমস্যা
কাজুতে রয়েছে আয়রন। আয়রনের অত্যধিক ব্যবহার কোষের কাজকে প্রভাবিত করে। কোষে আয়রন জমা হয়। যদি এটি ফুসফুসের কোষে জমা হয়, তাহলে হাঁপানির লক্ষণ দেখা যায়। যার জেরে মানুষের নিঃশ্বাস প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। সূত্র- আজতাক বাংলা