অবিলম্বে কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের ঘোষণা করুন: হেফাজত মহাসচিব

হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান বলেছেন, যারা হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে শেষ নবী মানে না তারা কাফের। আর যারা কাদিয়ানিদের কাফের মনে করে না তারাও কাফের। আমাদের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি মুসলমান। তারা নামাজ-রোজা পালন করেন। হজরত মুহাম্মদ সা. কে শেষ নবী মানেন। এখন তাদের বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে। তাদের প্রতি আহবান জানাবো আপনারা অনতিবিলম্বে কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের ঘোষণা করুন। কারণ আমরা জানি আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিদেশী কোন শক্তিকে পরোয়া করেন না। প্রধানমন্ত্রী, আপনি সাহস করে ঘোষণা দিয়ে দিন। দেশের ১৫ কোটি মুসলমান আপনার সাথে রয়েছে।

শনিবার রাজধানীর গুলিস্তান কাজী বশির মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ আয়োজিত ওলামা মাশায়েখ ও প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন, খতমে নবুওতের মহাসচিব আল্লামা মুহিউদ্দিন রাব্বানী। সংগঠনের সভাপতি আল্লামা মুহাম্মাদ ইয়াহইয়ার সভাপতিত্বে এবং মুফতী কিফায়াতুল্লাহ আযহারী, মাওলানা এনামুল হক মূসা ও মুফতী আল-আমীন ফয়জী’র সঞ্চালনায় আরো বক্তৃতা করেন, আল্লামা আতাউল্লাহ হাফিজ্জি, আল্লামা আবুল কালাম, আল্লামা মহিব্বুল হক গাছবাড়ী, আল্লামা মুফতী জসিমউদ্দীন, আল্লামা মুফতী ফোরকান আহমাদ, আল্লামা ইসমাঈল নুরপুরী, আল্লামা মাহফুজুল হক, আল্লামা আব্দুল আউয়াল, আল্লামা মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামীদি, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সোবহানী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়্যুবী, মাওলানা জহুরুল ইসলাম, মাওলানা মীর ইদ্রিস, মাওলানা হাসান জামিল, মাওলানা শওকত সরকার, মাওলানা শাব্বির আহমাদ, মাওলানা ইউনুস ঢালী, মাওলানা মুহাম্মদ আলী, মাওলানা শামছুল ইসলাম জিলানী, মাওলানা জাবের কাসেমী, মাওলান রেজাউল করীম জালালী, মাওলানা মোহাম্মদ ফয়সাল, মুফতী শামছুল আলম, মুফতী মোবারক, মাওলানা ফরহাদ আলম, মাওলানা আব্দুল্লাহ নাটরী প্রমুখ।

হেফাজত মহাসচিব বলেন, হেফাজতে যে ১৩ দফা দাবি ছিলো তারমধ্যে অন্যতম হলো কাদিয়ানিদের রাষ্টীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা। এটা সব আলেম-উলামা ও তৌহিদী জনতার দাবি। খতমে নবুওয়াত নিয়ে যারাই আন্দোলন করছেন তারা সবাই এ ব্যাপারে ঐক্যমত। তিনি সরকারকে সচেতন করে বলেন, আলেমরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে আবার মাঠে নামেন তাহলে ঢাকাতে জায়গা হবে না। তিনি প্রতিটি মসজিদে জুমার নামাজের আলোচনায় কাদিয়ানিদের বিষয়ে বক্তব্য রাখার জন্য ইমাম-খতিবদের প্রতি আহবান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া বলেন, কাদিয়ানিরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে কেন্দ্র গড়ে গরীর মুসলমানদের টার্গেট করে তাদের ধর্মহীন করে দিচ্ছে। আমরা যদি এখনই এ বিষয়ে সচেতন না হয়, জনমনে সচেতনতা তৈরি না করি তাহলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। না বুঝে অনেক সাধারণ মুসলমান বিপথে চলে যেতে পারে।

স্বাগত বক্তব্যে মহাসচিব আল্লামা মুহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, অনতিবিলম্বে কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। কাদিয়ানীরা এদেশে থাকতে পারে, কিন্তু মুসলমান পরিচয়ে নয়। হিন্দু-খৃস্টান-বৌদ্ধরা যেমন এদেশে নিজেদের ধর্মের পরিচয়ে বসবাস করছে, কাদিয়ানীরাও তেমন অমুসলিম পরিচয়ে থাকতে পারে। তাদের ধর্ম পরিচয় হবে, তারা কাদিয়ানী। মুসলিম নাম নিয়ে তাদের থাকতে দেয়া হবে না। তাদের উপাসনালয়গুলোকে মসজিদ পরিচয় দেয়া যাবে না। তাদেরকে মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করা যাবে না। ইসলামের নামে রচিত তাদের সব ধর্মগ্রন্থ নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের ছাপানো তথাকথিত কুরআন বাজেয়াপ্ত করতে হবে। এ সময় তিনি বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো-বিভাগগুলোতে সমাবেশ, ঢাকায় মহাসমাবেশ, সীরাত সম্মেলন, ইমাম-খতিবদের প্রশিক্ষণ প্রভৃতি।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

জামিন পেলেন এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান

নূর নিউজ

মিয়ানমার ও আফগানিস্তানের চেয়ে আমারা গণতান্ত্রিকভাবে অগ্রসর

নূর নিউজ

এস-৪০০ নিয়ে এক পা-ও পিছিয়ে আসা সম্ভব নয়: এরদোগান

নূর নিউজ