তুরস্কে লিরার রেকর্ড দরপতনের পর সম্ভাব্য কারসাজির ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। সুদের হার কমানোর প্রতিশ্রুতি ঘোষণার পর এই সপ্তাহে তুরস্কে লিরার রেকর্ড দরপতন হয়। এই বছর মুদ্রাটির ৪৫ শতাংশ মূল্য কমেছে। এর মধ্যে গত দুই সপ্তাহে অর্ধেক পতন হয়েছে।
ডলারের তুলনায় তুরস্কের মুদ্রা লিরার দাম আরো পড়ে যাওয়ায় দেশটিতে জিনিসপত্রের দাম লাফিয়ে বাড়ছে। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্টের কাছে দায়বদ্ধ একটি নিরীক্ষা সংস্থা স্টেট সুপারভাইজরি কাউন্সিলকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন এরদোগান। বিদেশি মুদ্রা বিপুল পরিমাণে কারা কিনেছে তা চিহ্নিত করতে এবং কোনও কারসাজি হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে বলেছেন তিনি।
গত বছর অক্টোবর মাসের তুলনায় তুরস্কে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে ২০ শতাংশ। যদিও নিরপেক্ষ মুদ্রাস্ফীতি রিসার্চ গ্রুপের মতে, আগের তুলনায় মুদ্রস্ফীতি প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
তুরস্কের অর্থনীতির এই অবস্থার একটি কারণ হলো করোনা। গত প্রায় দেড় বছর ধরে করোনা প্রতিটি দেশের অর্থনীতিকে চাপে ফেলেছে। তার ওপর রয়েছে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের অর্থনীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা। তিনি মনে করেন, ঋণের ক্ষেত্রে সুদের পরিমাণ কম রাখলেই অর্থনীতি ফুলেফেঁপে উঠবে। তার ধারণা, মুদ্রার দাম কম হওয়া মানে আর্থিক বৃদ্ধি সুনিশ্চিত হওয়া।
অর্থনীতিবিদরা এরদোগানের এই মত ও পথ মানেন না। তাদের মতে, এমন নীতির ফলেই তুরস্কের এই অবস্থা।