মাগরিবের পর থেকে এশার পর্যন্ত সময়টুকুর মাঝে যে নফল নামাজ পড়া হয় তাকে আওয়াবীন বলে। আওয়াবীন নামাজের ফজিলতের কথা হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
مَنْ صَلَّى سِتَّ رَكَعَاتٍ بَعْدَ الْمَغْرِبِ لَمْ يَتَكَلَّمْ بَيْنَهُنَّ بِسُوءٍ عُدِلَتْ لَهُ عِبَادَةَ اثْنَتَىْ عَشْرَةَ سَنَةً
‘যে ব্যক্তি মাগরিবের নামাজের পর ছয় রাকাত নামাজ পড়লো এবং এ নামাজের মাঝখানে কোনো অশিষ্ট কথা বলেনি, তাকে বারো বছরের ইবাদতের সওয়াব দেওয়া হয়।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস, ১৩৭৪)
আরেক হাদিসে এসেছে,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: إِنَّ الْمَلائِكَةَ لَتَحُفُّ بِالَّذِينَ يُصَلُّونَ بَيْنَ الْمَغْرِبِ إِلَى الْعِشَاءِ، وَهِيَ صَلاةُ الأَوَّابِينَ
‘ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, নিশ্চয়ই ফেরেশতারা ওই সকল নামাজিদের বেষ্টন করে নেয় যারা মাগরিব ও এশার মাঝখানে নামাজ পড়ে থাকে। সেটি হল আওয়াবীনের নামাজ।’ (শরহুস সুন্নাহ, বাগাবী, হাদিস, ৮৯৭)