আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন রেখে বলেছেন, আওয়ামী লীগ কী অপরাধ করেছে যে, পদত্যাগ করতে হবে। ক্ষমতায় থেকে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে চায়নি, এখন কেন আন্দোলন করছে সারা দিন। শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গ্যাস বেচার অঙ্গীকার করে সরকারে এসেছিল বিএনপি। দেশের সম্পদ বেচে ক্ষমতায় আসার লোভ নেই আওয়ামী লীগের।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গণভবনে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের কার্য নির্বাহী সংসদের বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিরোধী দলের আন্দোলন, দলীয় শৃঙ্খলাসহ সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্র জানিয়েছে। সূত্র জানায়, আগামী নির্বাচনের জন্য নেতাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী। এছাড়া বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী কেন্দ্রীয় নেতাদের দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। পরিস্থিতি ও সবদিক বিবেচনায় নিয়ে প্রার্থী দেয়া হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী নেতাদের জানিয়েছেন, যাকে যেখানে মনোনয়ন দেয়া হবে তার পক্ষে থেকেই সবাইকে কাজ করতে হবে। বিরোধী দলগুলোর সম্ভাব্য আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।
বিরোধীদের আন্দোলনের বিপরীতে দলীয় কর্মসূচি জোরদার করার বিষয়ে পরামর্শ এসেছে বৈঠক থেকে। বৈঠক সূত্র জানায়, সর্বশেষ বর্ধিত সভায় সারা দেশ থেকে আসা নেতারা অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের নানা বিষয় তুলে ধরেছিলেন। এছাড়া দলের এমপি, মন্ত্রী ও নেতাদের মধ্যে সমন্বয় নেই বলেও অভিযোগ করেছিলেন। গতকালের বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। সূত্রের দাবি, তৃণমূলে নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-বিভেদ দূর করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী।
বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুযোগ থাকার পরও বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা করেনি। এখন তারা কেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইছে। ভোট চুরি করলে দেশের মানুষ মেনে নেয় না, খালেদা জিয়ার পদত্যাগই তার প্রমাণ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কী অপরাধ করেছে? বিএনপি কেন একদফার কথা বলছে। যারা স্বজন হারা তাদের জবাব কি খালেদা জিয়া দিতে পারবেন? বিএনপি দেশের মানুষকে কি দিতে পেরেছে? তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে আবার অন্ধকার যুগে ফেরাতে চায় বিএনপি। বিএনপি’র অত্যাচারের শিকার দেশের সকল স্তরের মানুষ। যারা দুর্নীতি করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে তাদের মুখে এখন নীতির কথা শুনতে হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি’র মতো অত্যাচারের পথে হাঁটেনি আওয়ামী লীগ। ২১শে আগস্টের হামলার আলামত পর্যন্ত রাখতে দেয়নি। এখনো বিএনপি’র নেতারা আমাকে সরাসরি হত্যার হুমকি দিচ্ছে। কেন এমনটি করা হচ্ছে, এর জবাব কি তাদের কাছে আছে?