আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী না করতে পারলে দেশে ২০০১ সালের নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, আপনারা জানেন, ওই সময় কী হয়েছিল। আগামীতে আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় আসতে না পারে, তা হলে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পিঠের চামড়া থাকবে না।
গত রোববার গণভবনে অনুষ্ঠিত বর্ধিতসভায় তৃণমূল নেতাদের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের মামলা-হামলা ও নির্যাতন অতীতের চেয়ে আরও বাড়বে। তিনি নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে যেসব জেলা ও মহানগর শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক ‘ভারপ্রাপ্ত’ রয়েছেন, তাদের ভারমুক্ত করার ঘোষণা দেন।
গণভবনে এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল সোয়া ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ বিশেষ বর্ধিতসভায় জেলা-উপজেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ৪০ জনেরও বেশি নেতা বক্তৃতা করেন।
তাদের অনেকের মুখ থেকে যেমন বেরিয়ে আসে দলীয় এমপিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তেমনি বিএনপির একদফা আন্দোলন রুখে দেওয়ার অঙ্গীকারও করেন তারা।
নেতারা বলেন, আমাদেরও একদফা আছে, সেটা হলো সংবিধান মেনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই সংসদ নির্বাচন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিকল্প কোনোভাবেই তৃণমূল আওয়ামী লীগ মেনে নেবে না। ৬ ঘণ্টার মধ্যে ১ ঘণ্টার বিরতি দিয়ে ৫ ঘণ্টাই তৃণমূল নেতাকর্মীদের বক্তব্য শোনেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্ধিতসভায় দলীয় নেতা, সংসদ-সদস্য ও স্থানীয় পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সরকার এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রকাশনা। আরও দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের টানা তিন সরকারের আমলে হওয়া উন্নয়নের প্রামাণ্য চিত্রের সিডি।