বাংলাদেশে ইসলামের বিস্তার ও ইসলাম সমাজে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে সুফি-সাধক ও পীর-মাশায়েখগণ। তারই একটি শক্তিশালী ধারা চরমোনাই ধারা। ১৯৩৮ সালে বরিশালের চরমোনাইতে সূচনা হওয়া আধ্যাত্মিক আন্দোলন আজকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক ধারাতে পরিনত হয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল ১৯ ফ্রেব্রুয়ারি’২৫ বুধবার ঐতিহাসিক চরমোনাই মাহফিলের ফাল্গুন পর্ব শুরু হতে যাচ্ছে।
সারাদেশ থেকে লাখো মুসল্লি নিজ উদ্যোগে কাফেলাবদ্ধ চরমোনাইতে আসছেন। ইতোমধ্যেই ২/৩ দিন ধরেই কয়েক লাখ মুসল্লি ময়দানে অবস্থান করছেন। সময় যেতে যেতে কাফেলায় সাথীদের সংখ্যাও বাড়ছে।
২০০ একরেরও বেশি জায়গা নিয়ে মুসল্লিদের জন্য বিস্তৃত পাঁচটি মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে। সাড়ে তিন দিনে মোট ৭টি মুল বয়ানসহ দেশ-বিদেশের উলামায়ে কেরাম বয়ান পেশ করবেন।
মাহফিলের ২য় দিনে দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়ার ইসলামী নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন। মাহফিলের ৩য় দিনে ছাত্র গনজামায়েত অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে দেশের শীর্ষ বুদ্ধিজীবিসহ আরবের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন।
চরমোনাই মাহফিল মূলত আত্মশুদ্ধির একটি কার্যক্রম। যেখানে ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্য ও আধ্যাত্মিক শিক্ষাকেই প্রধান্য দেয়া হয়। একই সাথে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবেও চরমোনাই মাহফিল গুরুত্বপূর্ণ।
চরমোনাই মাহফিল উপলক্ষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব সারাদেশের সড়ক ও জনপথ বিভাগ, আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী ও জনপ্রশাসনের প্রতি সার্বিক সহযোগীতার আহবান জানিয়ে বলেন, সারাদেশের লাখো মুসল্লি মাহফিল উপলক্ষে বরিশালের দিকে আসবে। তাদের যাতায়াত ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। মানুষ যাতে সাচ্ছন্দে মাহফিলে আসতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।