আগামী পাঁচ বছরে নেওয়া বড় পাঁচটি প্রকল্পের মাধ্যমে তুরস্কের নৌবাহিনী ‘প্রচণ্ড শক্তিশালী অবস্থানে’ পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের ১০ দেশের মধ্যে তুরস্ক একটি, যারা নিজস্ব যুদ্ধজাহাজ নকশা, তৈরি করা ও রক্ষণাবেক্ষণে সক্ষম।’
ইস্তাম্বুল (এফ-৫১৫) ফ্রিগেটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন এরদোগান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘তুরস্কের জন্য সামরিক, অর্থনৈতিক ও কূটনীতিকভাবে শক্তিশালী হওয়া বাধ্যতামূলক। এটি বাছাই করার কোনো বিষয় নয়।’
এরদোগান তার বক্তব্যে বলেন, তুরস্ক এমন দেশে পরিণত হয়েছে, যে দেশ তার বন্ধু ও মিত্র দেশগুলোর চাহিদা মেটাতে পারে। স্থল ও সমুদ্রযানের ক্ষেত্রেও এই চাহিদা মেটানো হচ্ছে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে বলেন, ‘আঙ্কারা তার নিজ শক্তিতে বৈশ্বিক সরবরাহদের চ্যালেঞ্জ ও নিষেধাজ্ঞাকে অতিক্রম করতে সক্ষম হবে। নৌবাহিনীতে আরো ছয়টি নতুন সাবমেরিন যোগ করা হবে। ২০২২ সালে পিরি রইসের মাধ্যমে এর সূচনা হবে।’
একইসাথে ড্রোন শিল্পে তুরস্কের অগ্রগতিতে এরদোগান বলেন, ‘মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ড্রোন) তৈরিতে বিশ্বের প্রথম তিন থেকে চারটি দেশের মধ্যে তুরস্ক অন্যতম। ইস্তাম্বুল ফ্রিগেটের সাথে সমন্বিত করে কোরকুত লো-আল্টিচুড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের নৌ সংস্করণ হিসেবে গোকদেনিজ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নিয়ে কাজ করবে তুরস্ক।’
সূত্র, ইয়েনি শাফাক, ডেইলি সাবাহ।