তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ জেলা কমিটি গঠন

আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ মানিকগঞ্জ জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ (১১ জুন’২৩) রোববার এক সভায় মাওলানা আব্দুল ওয়াহহাবকে সভাপতি ও মাওলানা আব্দুল্লাহ ফিরোজকে সেক্রেটারি করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ মানিকগঞ্জ জেলা কমিটি এবং মানিকগঞ্জের সাত থানায় আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে মানিকগঞ্জ সদরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফাতিমা নবাব দারুল উলুম মাদ্রাসায় সকাল দশটায় মাওলানা আব্দুল ওয়াহহাবের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী।

মানিকগঞ্জ সহ সারাদেশে কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের অপতৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান অতিথি মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব। তিনি এদেশে কাদিয়ানী বিরোধী আন্দোলনে উলামায়ে কেরামের অবদান তুলে ধরে বলেন, আমাদেরকে আকাবিরদের রেখে যাওয়া কাজ সম্পন্ন করতে হবে। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম তৈরী করতে হবে। তিনি আরো বলেন, কাদিয়ানীরা এদেশে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মতো বসবাস করুক, তাতে আমাদের সমস্যা নেই। মুসলমান নাম ধারণ করে সরলমনা মুসলমানদের ঈমান হরণ করবে সেটা আমরা বরদাশত করবো না। সামনে নির্বাচন। এই নির্বাচনে যেই দল তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার ওয়াদা দিবে আমরা তাদের পক্ষে থাকবো ইনশাআল্লাহ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী নবগঠিত কমিটিকে মোবারকবাদ জানিয়ে বলেন, ইসলামে দুইটি জিনিসের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। একটা তাওহিদ আরেকটা রিসালাত। আমরা তাওহিদের পরিচয় তথা- আল্লাহর একাত্মবাদ, কালামুল্লাহ এবং পুরো শরীয়ত রাসূলুল্লাহ সা. এর মাধ্যমে পেয়েছি। যদি রাসুলুল্লাহ সা. এর রিসালাত তথা- খতমে নবুওয়ত সংরক্ষিত না থাকে তাহলে তাওহিদের পরিচয়, কুরআন এবং শরীয়তের কোনো বিধিবিধান কিছুই সংরক্ষিত থাকবে না। তিনি আরো বলেন, কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের অগ্রগতি রোধ করতে হলে আমাদেরকে তাদের সকল পণ্য বর্জন করতে হবে। তাদের উৎপাদিত সকল পণ্যের বিকল্প পণ্য বাজারে পর্যাপ্ত রয়েছে। আমরা এই ব্যাপারে অসচেতন। উলামায়ে কেরামের কর্তব্য হলো, এ ব্যাপারে জাতিকে সচেতন করা। যদি মসজিদের ইমামগণ নিজ নিজ এলাকার দোকানগুলোতে পর্যায়ক্রমে প্রতিদিন কিছু দাওয়াতি কাজ করেন, তাহলে অবশ্যই ধীরে ধীরে কাদিয়ানীদের পন্যগুলো দোকান থেকে উঠে যাবে, ইনশাআল্লাহ।

সভাপতি মাওলানা আব্দুল ওয়াহহাব তার বক্তব্যে বলেন, আমরা কাদিয়ানিদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো এবং মানিকগঞ্জকে কাদিয়ানী বিরোধী আন্দোলনের দূর্গ হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ। তিনি সভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং মানিকগঞ্জের স্থানীয় যে সকল আলেম উলামা এসেছেন, তাদের সকলকে আন্তরিক মুবারকবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

এ সময় আরো আলোচনা করেন, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল কাইয়ুম সোবহানী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, যুগ্ম মহাসচিব মুফতী কিফায়াতুল্লাহ আজহারী, সহকারী মহাসচিব মুফতী কামাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আশেকুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক মাওলানা রাশেদ বিন নূর, খতমে নবুওয়ত ৭নং জোন সেক্রেটারি মুফতী মাহফুজুর রহমান, সহকারী প্রচার সম্পাদক মাওলানা আফসার মাহমুদ, ৭নং জোন প্রচার সম্পাদক মুফতি মাহফুজ হায়দার এবং স্থানীয় উলামায়ে কেরাম।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

যেসব বিষয়ে কূটনীতিকদের জানাল বিএনপি

নূর নিউজ

ডেঙ্গিতে বছরের সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড

নূর নিউজ

বাংলাদেশী সাংবাদিকের প্রশ্নে বিরক্ত জাতিসংঘ মহা সচিবের মূখপাত্র

নূর নিউজ