আন্দোলন গড়ে তুলতে একমত হয়েছে ৩ দল : বিএনপি

বিরোধী বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার অংশ হিসেবে ইসলামী ঐক্য, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও ইসলামিক পার্টির সঙ্গে সংলাপ করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) গুলশান কার্যালয়ে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত চলে সংলাপ।

সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সরকারের পতনের লক্ষ্যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ করার যে উদ্যোগ নিয়েছি তার অংশ হিসেবে আমরা আজ তিনটি দলের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা এই সরকার সরিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বৃহত্তর ঐক্যের মধ্যে দিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে একমত হয়েছি।

সংলাপে ইসলামী ঐক্যজোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ রকিব ১০ সদস্য নিয়ে অংশ নেন। বাকি সদস্যরা হলেন- মহাসচিব আবদুল করীম, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ আলম মাস্টার, শামসুল হক, সৈয়দ মোহাম্মদ আহসান, শওকত আমীন, কেন্দ্রীয় নেতা ইলিয়াস আতাহারী, আনোয়ার হোসাইন, কামরুজ্জামান ও ইলিয়াস রেজা।

ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহের। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- মহাসচিব আবদুল্লাহ আল হারুন সোহেল, প্রেসিডিয়াম সদস্য আহমেদ বদরুদ্দিন আহমেদ, এম এ মালেক, মিজানুর রহমান পাটোয়ারী, ফারুক মিয়া, কেন্দ্রীয় নেতা মজিবুর রহমান, মোহাম্মদ আবু সাইদ, হাসান মিয়া ও আনন্দ দে।

ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। অন্যরা হলেন- ভাইস চেয়ারম্যান সিদ্দিক আহমেদ নোমান, সিদ্দিক আহমেদ নোমান, আব্দুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী, আদিলুর রহমান।

তিনটি সংলাপেই বিএনপির মহাসচিব ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৪ মে থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে বিএনপি। আজকের তিনটি দল ছাড়াও জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি(এলডিপি), লেবার পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-ভাসানী), মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, সাম্যবাদী দল, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সঙ্গে সংলাপ করে দলটি।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

মনগড়া কোনো সংগঠনকে আ’লীগের সাথে সম্পৃক্ত করার সুযোগ নেই : কাদের

আনসারুল হক

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটা একটা মাফিয়ার দেশে পরিণত হয়েছে। জনগণের ভোটে নির্বাচত নয় এই সরকার আজকে জোর করে ক্ষমতা দখল করে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। তিনি আরও বলেন, আমরা যখন চুরি-চামারির কথা বলি, গায়ে লাগে তাদের। গায়ে লাগার কিছু নাই, চুরি করলে মাথা নিচু করে থাকতে হবে। সময় আসছে, যখন তাদের মাথা নিচু করে এ দেশ থেকে চলে যেতে হবে। আজ শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ফখরুল বলেন, প্রত্যেকটি চোরের-ডাকাতের বিচার হবে এ দেশে। তারা বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। তাই আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, এরা কোনো নির্বাচিত সরকার নয়। এরা কোনো নির্বাচনে জয় লাভ করতে পারেনি। শুধুমাত্র রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিভিন্ন আধিপত্যবাদী, পরাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। আমাদের সমস্ত স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্ক্ষা আছে তা ধ্বংস করে দিচ্ছে। ৬ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গুম করেছে। ৩৫ লাখের বেশি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তারা একই কায়দায় এ দেশ শাসন করতে চায়, বিরোধী সব মতকে দমন করতে চায়, গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করতে চায়। আবারও তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ত ঝরিয়েছে। আমাদের ছাত্রদলের নেতাদের নির্মমভাবে পিটিয়ে-গুলি করে আহত করেছে। খুলনায় গত পরশু তারা মিটিংয়ে আক্রমণ করেছে। বিভিন্ন জায়গায় তারা সন্ত্রাস করে, ভয় দেখিয়ে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আবারও মানুষের অধিকার আদায়ের যে সংগ্রাম তা ধ্বংস করে দিতে চায়। এবার জেগে উঠছে মানুষ। আমাদের নেতা তারেক রহমান যে পতাকা উত্তোলন করেছেন তা এ দেশের মানুষের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পতাকা। যে পতাকা শহীদ জিয়াউর রহমান তুলে ধরেছিলেন, মানুষের সামনে নিয়ে এসেছিলেন; বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা কোথাও চাকরি পাই না। আমাদের ছেলে-মেয়েরা পাস করে যায় কিন্তু তাদের চাকরি দেওয়া হয় না। অথচ ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে; ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে; বিনা পয়সায় সার দেবে। যেখানে যাবে শুধু পয়সা। পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি পেতে হলে ২০ লাখ টাকা কমপক্ষে লাগে, তাও পাবেন না যদি আওয়ামী লীগ না হন। এ দেশকে তারা লুটপাটের রাজত্ব বানিয়েছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে সত্যিকার অর্থে জনগণের রাষ্ট্রে পরিণত করার আহ্বান জানান তিনি। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, এই দেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই সরকার যে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে, সেই কমিশনের পরিচালনায় সবার অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন হবে।

নূর নিউজ

পরীমনির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা: ডিবি থেকে সাকলায়েনকে প্রত্যাহার

আনসারুল হক