আফগানিস্তানে তালেবানের অস্থায়ী সরকার গঠন দেশটিতে অর্ন্তভুক্তিমূলক প্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠনের পথকে সুগম করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই মন্তব্য করেছেন।
কট্টরপন্থী তালেবান নেতা মোল্লা হাসান আকুন্দকে প্রধানমন্ত্রী এবং মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার ও মৌলভী আব্দুস সালাম হানাফিকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করে তালেবান অর্ন্তবর্তিকালীন সরকার গঠন করেছে। তালেবানের অর্ন্তবর্তি সরকারে কোনো নারী প্রতিনিধি রাখা হয়নি।
জানতে চাইলে নেদারল্যান্ডস সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বুধবার বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি’। অপরদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস বলেছেন, ‘আফগানিস্তানে অর্ন্তবর্তি সরকার গঠিত হয়েছে। বিষয়টি আমরা নোট নিয়েছি। আমরা আশা করব, অস্থায়ী সরকার গঠনের মাধ্যমে আফগানিস্তানে অর্ন্তভুক্তিমূলক প্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠনের পথ সুগম হবে’।
তালেবানের অস্থায়ী সরকারকে স্বীকৃতি দেবে কিনা জানতে চাইলে মাশফি বলেন, ‘এটা একটা অর্ন্তবর্তি সরকার। এই সরকারকে স্বীকৃতি কিংবা অস্বীকৃতির প্রশ্ন আসছে না। তাছাড়া, সকল দেশই নোট নিচ্ছে। সরকারে কারা আছে এসব দেখছে। আমরাও দেখছি’।
এর আগে তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর বাংলাদেশ বলেছিল, দেশটিতে জনগণের মতামতের প্রতি বাংলাদেশ সম্মান জানাবে। আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় বাংলাদেশ। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশটির পুর্নগঠন এবং সামাজিক উন্নয়নে অংশ নিতে চায় বাংলাদেশ।