আফগানিস্তানের লাখ লাখ শিশুর জীবন বাঁচানোর জন্য জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
সংস্থাটি বলেছে, আফগানিস্তানের এ সমস্ত শিশু মানবিক বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে।
গত ১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর দেশটি আমেরিকা এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রচণ্ড রকমের দারিদ্রতার মধ্যে পড়েছে। তাদের সেই দুঃখ দুর্দশাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে প্রচণ্ড ঠান্ডা।
জাতিসংঘ বলছে, এখনই জরুরিভিত্তিতে আফগানিস্তানের শিশুদেরকে রক্ষার ব্যবস্থা না নিলে চলতি বছর ১০ লাখের বেশি শিশু মারা যাবে।
আফগানিস্তানে কর্মরত ইন্দিরা গান্ধী হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, দেশের দারিদ্রতা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিশুদের শিশুদের পুষ্টিহীনতা।
ওই ডাক্তার বলেন, অর্থনীতির সাথে নিষেধাজ্ঞার সম্পর্ক রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে যেহেতু দারিদ্রতা বেড়েছে সে কারণে মানুষের পুষ্টিহীনতা বেড়েছে। ফলে প্রতিদিনই হাসপাতালে এ ধরনের পুষ্টিহীন শিশুর সংখ্যা বাড়ছে।
জাতিসংঘ বলছে আফগানিস্তানের মোট জনসংখ্যার মাত্র শতকরা দুই ভাগ পর্যাপ্ত খাদ্য পাচ্ছে এবং অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যা মারাত্মক ক্ষুধার মুখে রয়েছে।
আফগানিস্তানের এই পরিস্থিতিতে তালেবান নেতারা পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছে এবং বিভিন্ন চ্যানেলে যোগাযোগ করছে যাতে পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটানো যায়।