স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ ইতিমধ্যে ভাইরাসটির ‘হটস্পট’ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। সেখানে ৩০ জনের বেশি লোক শনাক্ত হয়েছে।
মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ মোকাবিলায় বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে আক্রান্তদের ২১ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলেছে বেলজিয়াম। পরপর তিনজনের দেহে রোগটি শনাক্তের পর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউভুক্ত দেশটি। গত শুক্রবার বেলজিয়ামের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এই ঘোষণা দেয়।
এদিকে রোববার বেলজিয়ামের ভাইরোলজিস্ট মার্ক ভন র্যানস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, মাঙ্কিপক্সের চতুর্থ কেস শনাক্তের খবর।
আগের তিনজনের মতো ইনিও ডার্কল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক সমকামী উৎসবে ছিলেন বলে মার্ক উল্লেখ করেন। মে মাসের প্রথম দিকে এন্টওয়ার্পে এটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
ডার্কল্যান্ডস উৎসবে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে বলেছেন এই চিকিৎসক।
বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে মাঙ্কিপক্স। রোগটির উৎপত্তিস্থল হিসেবে ধরা হচ্ছে আফ্রিকার পশ্চিম এবং কেন্দ্রীয় অঞ্চলকে।
এর বাইরেও ক্যানারি আইল্যান্ডের দ্য গ্রান ক্যানারিয়া প্রাইড ফেস্টিভালে সমগ্র ইউরোপ থেকে ৮০ হাজারের মতো মানুষ অংশ নিয়েছিল। এই ইভেন্টটিকেও ইউরোপ অঞ্চলে মাঙ্কিপক্সের ‘সুপার-স্প্রেডার’ হিসেবে ভাবা হচ্ছে। স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ ইতিমধ্যে ভাইরাসটির ‘হটস্পট’ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। সেখানে ৩০ জনের বেশি লোক শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে সেলফ আইসোলেশনের পাশাপাশি বেলজিয়ান সরকার আক্রান্তের ঝুঁকিতে রয়েছে এমন ব্যক্তিদের হাসপাতালের জরুরী বিভাগে গিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককের পরামর্শ নিতে আহ্বান জানিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মাঙ্কিপক্স সহজে ছড়ায় না; এ রোগ সংক্রমণের জন্য শরীরের ক্ষত, বডি ফ্লুইড, লালা এবং ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ প্রভৃতি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, লসিকা গ্রন্থির স্ফীতি, পিঠ এবং পেশীতে ব্যথা, মুখ, হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুঁজযুক্ত ফুসকুঁড়ি ইত্যাদি। সংক্রমণের এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে লক্ষণগুলো দেখা দিতে শুরু করে।
বেলজিয়াম ছাড়াও নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইতালি, পর্তুগাল, স্পেন, সুইডেন, কানাডা, ইসরায়েল, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ এক ডজনেরও বেশি দেশে গত সপ্তাহে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত করা হয়েছে; যেন ফের বিশ্বজুড়ে করোনার মতো আশঙ্কা তৈরি করছে এই রোগ।