আমাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো কে আছে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন’ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যখন একটি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, জনগণের তাদের ওপর এই আস্থা থাকতে হয়। নির্বাচনে তারা জয়লাভ করলে কে তাদের সরকারেরপ্রধান হবে- সেটা জনগণ আগে থেকেই জানতে চায়।

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ প্রথম থেকেই এটা বিবেচনা করে। এটা শুধু আমাদের দেশেই ঘটে না, বরং বিশ্বব্যাপীই এমনটা হয়ে থাকে। তাদের (বিএনপি) নেতা হিসেবে কে নির্বাচনে অংশ নেবে।’

প্রধানমন্ত্রী বুধবার তার কার্যালয়ের শাপলা হলে চলমান বন্যা পরিস্থিতি এবং আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন’ সংক্রান্ত অপর একটি প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, যখন একটি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, জনগণের তাদের ওপর এই আস্থা থাকতে হয়। নির্বাচনে তারা জয়লাভ করলে কে তাদের সরকারেরপ্রধান হবে- সেটা জনগণ আগে থেকেই জানতে চায়।

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ প্রথম থেকেই এটা বিবেচনা করে। এটা শুধু আমাদের দেশেই ঘটে না, বরং বিশ্বব্যাপীই এমনটা হয়ে থাকে। তাদের (বিএনপি) নেতা হিসেবে কে নির্বাচনে অংশ নেবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা কি তাদের নেতা হিসেবে জনগণকে পলাতককে (তারেক রহমান) দেখাবে? তিনি তো দেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন।’

তিনি বলেন, সহজেই ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেতে কত টাকা বিনিয়োগ করতে হয়েছে!কীভাবে একজন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি ব্রিটিশ নাগরিক হলো- তা বের করতে সাংবাদিকদের পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যদি আপনারা এটা বের করতে পারেন, তবে সবকিছু বেরিয়ে আসবে।’

সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘তাই তারা (বিএনপি) কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে এবং এক্ষেত্রে গণতন্ত্রের ভুলটা কোথায়? তাদের দল এখনো বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে- যাদের এখন আর কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ছাড়া অবশিষ্ট রইল বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো-যেগুলো অব্যাহতভাবে বিভক্ত হতে হতে ছোট থেকে আরও ছোট হয়ে গেছে এবং এখন দলগুলো কখনো ডান দিকে কখনো বা বাম দিকে ঝুঁকে যায়।

তিনি প্রশ্ন করেন, ‘তাই, আমাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো কে আছে?’তিনি একটি শক্তিশালী দল গঠন করে নির্বাচনের মাঠে নামার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘আসুন নির্বাচনের ময়দানে নামি এবং জনগণকে বেছে নিতে দেই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার কথা স্পষ্ট। এখানে আপনারাই দেখতে পাচ্ছেন যে, আমার জন্য সেখানে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু আমি কখনোই এভাবে প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না।’

তিনি আরও বলেন, তিনি ১৯৯১ সালেও প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। কারণ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ তাকে জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনা তার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘আমি সেভাবে ক্ষমতায় যেতে চাইনি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তখন আমি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ক্ষমতায় যেতে পারিনি। যখন আমার কাছে সম্পূর্ণ ক্ষমতা থাকবে, তখনই আমি সরকার গঠন করব। আমার দেশের উন্নয়নে একটি সরকার গঠন করার ইচ্ছে।’

তিনি ১৩ বছরের আগে দেশের দৃশ্যপট স্মরণ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মেয়াদে দেশের উন্নয়নের ভিত গড়ে তোলেন এবং পরে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপির আমলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয় এবং লুটপাট, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, বাংলাভাইয়ের উত্থান ঘটে। তখন জরুরি পরিস্থিতিতে (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) আসে।তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে, জাতির জীবন থেকে মূল্যবান আটটি বছর নষ্ট হয়।’

এ জাতীয় আরো সংবাদ

বিদ্যুত নিয়ে দলীয় মন্ত্রী ও উপদেষ্টার বক্তব্য জনগণের সাথে তামাশা

নূর নিউজ

যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করে যা বললেন ওবায়দুল কাদের

নূর নিউজ

চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

নূর নিউজ