বিশ্বব্যাপী আরবি ভাষার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় কিং সালমান গ্লোবাল একাডেমি ফর অ্যারাবিক ল্যাঙ্গুয়েজ। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে সৌদির মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদনক্রমে তা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে এর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
কিং সালমান গ্লোবাল একাডেমি ফর অ্যারাবিক ল্যাঙ্গুয়েজের তত্ত্বাবধানে দি এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং এভল্যুশন কমিশনের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো অন্য ভাষাভাষীদের আরবি ভাষার দক্ষতা পরীক্ষা চালু করা হয়।
সৌদি ভিশন ২০৩০-এর উন্নয়ন ও বৈচিত্র্যপূর্ণ লক্ষ্য বাস্তবায়নে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই ভাষার ভূমিকা আরো সুদৃঢ় করতে এবং ভাষার ব্যবহারে উৎসাহ দিতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়।
সৌদির সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী প্রিন্স বাদর বিন আবদুল্লাহ বিন ফারহান জানিয়েছেন, সৌদি ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আরবি ভাষাকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মূলত সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের অন্য ভাষাভাষী শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আরবি বিষয়ে নিয়োগ পাওয়া এবং তাদের কর্মীদের ভাষাগত দক্ষতা ও যোগ্যতা বৃদ্ধি করতে পরীক্ষাটি সাজানো হয়েছে।
প্রিন্স বাদর আরো জানান, দক্ষতা পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হবে তারা আরবি ভাষার দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে একটি সার্টিফিকেট পাবে। যেমন—বিদেশি ভাষা হিসেবে ইংরেজির দক্ষতা পরীক্ষার জন্য দি ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেমের (আইইএলটিএস) মাধ্যমে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।
রিয়াদের ইনস্টিটিউট অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অধ্যাপক ওসামান গামিন আল-ওবায়দি বলেন, যাদের ভাষা আরবি নয়, তাদের মধ্যে যারা কোনো আরব দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চায় বা আরব দেশে কাজ করতে চায়, তাদের ভাষাগত দক্ষতা উন্নয়নে এই পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে অন্য ভাষাভাষীদের আরবি ভাষার ভাষাগত দক্ষতার পাশাপাশি ধর্ম, ইতিহাস, আইনসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে তাদের যোগ্যতা পরিমাপ করা যাবে। এর মাধ্যমে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আরবি ভাষা ও ইসলামী সংস্কৃতির গুরুত্ব অনেক বৃদ্ধি পাবে।
গত ১২ জুন দ্য কমন ইউরোপিয়ান ফ্রেমওয়ার্ক অব রেফারেন্সের (সিইএফআর) ভাষাগত মানদণ্ডগুলো অনুসরণ করে আরবি ভাষার দক্ষতা পরীক্ষা শুরু হয়। আন্তর্জাতিক মান অনুসরণের মাধ্যমে পড়া, লেখা, শোনা ও কথোপকথনের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর দক্ষতা নির্ণয় করা হয়। আগে অন্য ভাষাভাষীদের আরবি ভাষায় দক্ষতা যাচাইয়ের মানসম্মত কোনো পদ্ধতি ছিল না। তাই এ ধরনের পরীক্ষাকে প্রথম বলে মনে করা হচ্ছে।