নিজস্ব প্রতিবেদক: আরবি ভাষা দিবস ২০২০ উপলেক্ষ্য আলনূর কালচারাল সেন্টার বাংলাদেশের আয়োজনে ও মাদরাসাতুল মা’আরিফ ঢাকার পরিচালনায় আরবি হস্তলিপি প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৮ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকাল তিনটায় ঢাকার মাতুয়াইলস্থ আলনূর এডুকেশন কমপ্লেক্স মিলনায়তনে এ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলনুর কালচারাল সেন্টার বাংলাদেশের নির্বাহী সভাপতি ও দীনিয়াত বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মুফতী সালমান আহমদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের লেকচারার ও আল নূর কালচারাল সেন্টার বাংলাদেশ-এর উপদেষ্টা মাওলানা শরাফাতুল্লাহ নদভী।
প্রধান আলোচক হিসেবে কাতার থেকে লাইভে বক্তব্য রাখেন কাতার ধর্মমন্ত্রনালয়ের ইমাম-খতীব ও আল নূর কালচারাল সেন্টার কাতার-এর নির্বাহী পরিচালক মাওলানা ইউসুফ নূর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দারুল ইরশাদ যাত্রাবাড়ী বড় মাদরাসার প্রধান মুশরিফ মাওলানা আবু নোমান আল মাদানি, মাদরাসাতুল মা’আরেফ ঢাকার পরিচালক ও আলনুর কালচারাল সেন্টারের শিক্ষা পরিচালক মাওলানা সাইফুল ইসলাম মা’আরেফী, মারকাযুল লুগাতিল আরাবিয়্যাহ বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা মুহিউদ্দীন ফারুকী, জামিয়াতুল উস্তায শহিদুল্লাহ ফজলুল বারী রহ. ঢাকার পরিচালক মাওলানা শফিকুল ইসলাম ইমদাদী, জামিয়া হোসাইনিয়া আশরাফুল উলুম বড়কাটারা মাদরাসার শিক্ষক ও আল নূর কালচারাল সেন্টার বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনসারুল হক ইমরান, আল নূর কমপ্লেক্স জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ইসহাক আহমদ, মাদরাসাতুল মা’আরেফ ঢাকার শিক্ষা সচিব মাওলানা মাসুম বিল্লাহ মা’আরেফী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা শরাফাতুল্লাহ নদভী বলেন, মুসলমানদের জন্য আরবী ভাষা জানা ও বুঝা অত্যন্ত জরুরী। কারণ, আরবী ভাষা কুরআনের ভাষা, জান্নাতের ভাষা, রাসূল (সা.)-এর ভাষা। নবীজী এই ভাষার জন্য গর্ব করেছেন। আন্তর্জাতিক আরবী ভাষা দিবসে আল নূর কালচারাল সেন্টার বাংলাদেশের আরবি হস্তলিপির আয়োজন যুগোপযোগী উদ্যোগ। আশা করি, আল নূর সেন্টার ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখবে এবং সারা দেশে আরবি ভাষার ব্যাপ্তি ছড়িয়ে দেবে।
কাতার থেকে লাইভে মুখ্য আলোচক মাওলানা ইউসুফ নূর বলেন, আল নূর কালচারাল সেন্টার শুরু থেকে সমাজসেবা, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও গবেষনাধর্মী কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে আরবি হস্তলিপি প্রতিযোগিতা সেই কাজের একটি অংশ। গত বছরও আমরা এই আয়োজন করেছিলাম। এর ধারাবাহিতায় বছরও আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতায় ঢাকার বিভিন্ন মাদরাসার শিার্থীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ আমাদেরকে উৎসাহ যুগিয়েছে। আগামীতে আরো ব্যাপক আকারে প্রতিযোগিতা আয়োজনের চেষ্টা থাকবে ইনশাল্লাহ।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, আরবী ভাষা চর্চায় শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে আলনুর কালচারাল সেন্টার বাংলাদেশের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা আলনুর সেন্টারের সাফল্য কামনা করছি।
সভায় আরবী হস্তলিপি প্রতিযোগিতায় প্রথম থেকে দশম পর্যন্ত বিজয়ীদের হাতে আকর্ষনীয় পুরুস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। এছাড়াও অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে শান্তনা পুরুস্কার প্রদান করা হয়। দুআর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।